কলকাতা, 6 মার্চ : কোরোনা আতঙ্ক রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে শহর কলকাতায় । নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে N-95 মাস্ক খোঁজ করছেন সাধারণ মানুষ । পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন সেই মাস্ক । গত দু'দিনে চাহিদা বেড়ে গেছে অনেকটাই । আর সেই সুযোগ নিতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা । অভিযোগ, 210 টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশো থেকে 400 টাকায়। অভিযোগ পেয়ে ময়দানে নেমেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ । ওষুধের দোকানগুলিকে নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
মাস্ক নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ, মাঠে নামল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ
দিল্লিতে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরেই কলকাতায় বেড়ে গেছে এই নিয়ে সতর্কতার হিড়িক । বারবার হাত ধোয়ার জন্য অনেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার আর মাস্কের খোঁজ করছেন। আর সেই সুযোগ নিতে শুরু করেছে কলকাতার ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটা মহল । এমন অভিযোগ পাওয়ার পর কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের বিভিন্ন দল আজ ওষুধের দোকানগুলোতে তল্লাশি চালায় ।
মূলত ওষুধের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে এই ধরনের মাস্ক । দিল্লিতে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরেই কলকাতায় বেড়ে গেছে এই নিয়ে সতর্কতার হিড়িক । বারবার হাত ধোয়ার জন্য অনেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার আর মাস্কের খোঁজ করছেন। আর সেই সুযোগ নিতে শুরু করেছে কলকাতার ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটা মহল । অভিযোগ তারা কালোবাজারি করছে এই দুটো জিনিসেরই । অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না মাস্ক । হঠাৎ যেন আকাল পড়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের । অভিযোগ, আসলে ওই সব সামগ্রীর নকল ক্রাইসিস তৈরি করতেই এই ব্যবস্থা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা । যাতে আতঙ্ক আরও বেশি চেপে বসলে তিন-চারগুণ দামে সেইসব সামগ্রী বিক্রি করা যায় ।
এমন অভিযোগ পাওয়ার পর কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের বিভিন্ন দল আজ ওষুধের দোকানগুলোতে তল্লাশি চালায় । প্রায় 30টি দোকানে তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা । কলকাতা শহরের বড় হাসপাতালগুলির আশপাশের দোকানগুলোতে মূলত অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ । এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা দোকানগুলিতে নির্দেশ দিয়েছেন, কত স্টক আছে তা দোকানের সামনে বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখতে হবে । সারাদিনে কত বিক্রি হয়েছে লিখে রাখতে হবে সেটিও । এই অভিযান চালানো হবে বলে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রের খবর।