কলকাতা , 22 ডিসেম্বর : হাতে গোনা আর মাত্র তিনদিন । তারপরেই বড়দিনের উৎসব । আর বড়দিন মানেই পার্ক স্ট্রিট । সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের মিড নাইট মাস । তবে এই বছর পরিস্থিতিটা আলাদা । কোরোনা-র জেরে অনেক কিছুতেই রয়েছে বাধানিষেধ । কিন্তু আনন্দে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না সেন্ট পলস কর্তৃপক্ষ । সমস্ত নিয়ম মেনেই এই বছর পালিত হবে মিডনাইট মাস অনুষ্ঠান ।
ক্রিস্টমাসের দিন একটা বড় অংশের মানুষ ভিড় করেন এই গির্জায় । প্রতি বছর এই সময়টায় শহরের সবকটি গির্জা আলোয় সেজে ওঠে । বহু মানুষ ভিড় জমান এখানে । তবে এই বছরে কোরোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে মিড নাইট মাস হবে বা সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপচে পড়া ভিড় কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে , তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই ধাপে ধাপে বৈঠক চলছে ।
স্বাভাবিক নিয়মেই এ-বছরের প্রার্থনা, নজর স্বাস্থ্যবিধি গির্জার বিশপ বলেন, "কয়েক মাস হল সাধারণের জন্য চার্চের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে । তবে বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা এখন চার্চে প্রার্থনা করতে আসছে না । অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও মিড নাইট সার্ভিস অনুষ্ঠিত হবে । তবে সেই সময় শুধুমাত্র চার্চের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন । সার্ভিস শেষ হলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষজন চার্চের ভেতরে আসতে পারবেন । এছাড়া গির্জা চত্বরে অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি পুলিশ মোতায়ন থাকবে । যারা আসবেন তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে । মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক । পুরো গির্জাটিকে বারবার স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে । 31 ডিসেম্বর সারাদিন যে সার্ভিস ও অনুষ্ঠানগুলি হয় , সেগুলিও চলবে নিয়ম মেনেই । 1 জানুয়ারিও গির্জা খোলা থাকবে । " তিনি আরও জানান, যাঁরা গির্জায় আসতে পারবেন না, তাঁরা ভার্চুয়ালি প্রার্থনা সভায় যোগদান করতে পারবেন ।
আরও পড়ুন, বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর, ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য এসওপি জারি
যদিও রাজ্যের কয়েকটি গির্জায় এবার বড়দিনের উৎসব পালন না করে প্রার্থনা হবে ভার্চুয়ালি । তবে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে অন্যান্য বছরের নিয়ম মেনেই বড়দিনের উৎসব ও প্রার্থনা সভাগুলি অনুষ্ঠিত হবে ।
ঔপনিবেশিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ শহর কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল সেন্ট ক্যাথিড্রাল । 1819 সালে বিশপ মিডলটানের উদ্যোগে এই গির্জার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় । 1839 সালে গির্জাটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় । স্থাপত্যের নিদর্শন তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় আট বছর । তারপরেই জনসাধারণের জন্য গির্জাটি খুলে দেওয়া হয় ।