কলকাতা, 9 এপ্রিল:দলের ও সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে কলকাতায় পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ৷ তৃণমূলে ফিরহাদের গুরুত্ব ক্রমে কমছে কি না তা নিয়ে জল্পনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে এই ঘটনা ৷ শুক্রবার প্রথমে কুণাল ঘোষের সাংবাদিক বৈঠক ও তারপর দলের টুইটার পেজ থেকে বার্তা দেওয়ার পর যেভাবে পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, কার্যকর করার পরেও প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমকে তাতে এই জল্পনায় ইন্ধন আরও বেড়েছে ৷ তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও মুখ খোলেননি ফিরহাদ ৷ বরং বিষয়টিকে 'ক্লোজড চ্যাপ্টার' বলতেও শোনা যায় তাঁকে ৷ তবে রবিবার ফিরহাদের একটি মন্তব্য এই গোটা ঘটনাক্রমকে অন্য মাত্রা দিয়েছে ৷
রবিবার চেতলায় একটি রক্তদান শিবিরে যান ফিরহাদ ৷ সেখানে কিছুটা অভিমানের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা যায় "চেতলায় নতুন ফিরহাদ তৈরি হবে ।" শুধু কলকাতার মেয়র বা রাজ্যের মন্ত্রী নন, তৃণমূলের পুরনো নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ দলের অন্দরে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই কদিন আগে পর্যন্ত ৷ এর আগে ছোটখাটো বিতর্কে নাম জড়ালেও তৃণমূলে ফিরহাদের গুরুত্ব নিয়ে কখনও প্রশ্ন ওঠেনি ৷ কিন্তু সম্প্রতি দলের বৈঠকে তাঁকে যেভাবে পৌরসভা বাদে অন্য বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর থেকেই ফিরহাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দলের অন্দরেই ৷ শুক্রবারের ঘটনার পর সেই প্রশ্ন আরও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ৷
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ফিরহাদকে আরও চাপে ফেলতেই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কথা জানানো হয় দলের তরফে ৷ অন্যথায় বিষয়টি অন্যভাবেও মেটানো যেত ৷ যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনস্বার্থ বিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না তা আরও একবার স্পষ্ট করতেই সেদিন ওই সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ যা নিয়ে পরে দলের তরফে টুইটও হয় ৷