কলকাতা, ২৮ মার্চ : কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল খবরটা। স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভারের রাজ্যে আসার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ এখন থেকে তাঁরই দেখার কথা ছিল। কিন্তু নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভার কেকে শর্মার RSS -র সাথে যোগ আছে। প্রকাশ করা হয় একটি ছবিও। সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরে তাঁকে সম্ভবত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর জায়গায় কাকে পাঠানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
বিতর্কের জের, সরানো হচ্ছে স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভারকে ? - special police observer
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভার কেকে শর্মার RSS -র সাথে যোগ আছে। প্রকাশ করা হয় একটি ছবিও। সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরে তাঁকে সম্ভবত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে ইতিমধ্যে ১০ কম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গেছে। কলকাতাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রুট মার্চ। তারপরেও রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধীদের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এসে CPI(M) নেতা রবীন দেব অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাবের দেখার কথা ছিল। অথচ দেখা যাচ্ছে রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে। মোটের উপর এই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। অভিযোগ জমা পড়ে দিল্লির নির্বাচন সদনেও। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। সেই অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর উত্তর কলকাতার জেলা ইলেকশন অফিসারের কাছে রিপোর্ট তলব করে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশন রাজ্যের জন্য বিশেষ পুলিশ অবজ়ারভার পাঠাচ্ছে। তবে বিশেষ পুলিশ অফিসার হয়ে কেকে শর্মার জায়গায় কে আসবেন তা অবশ্য ঠিক হয়নি। কেকে শর্মা BSF-র প্রাক্তন DG। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টিও তাঁর দেখার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি প্রকাশ করেন। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইস্তাহার প্রকাশের সময় সেই ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সম্ভবত তৈরি হওয়া বিতর্কের জেরেই কেকে শর্মাকে সরানো হচ্ছে।