কলকাতা ও দিল্লি, 28 মার্চ : সরানো হল স্পেশাল অবজ়ারভার কে কে শর্মাকে। তাঁর জায়গায় আসছেন বিবেক দুবে। সঙ্গে আসছেন 24 পুলিশ অবজ়ারভার। আসছেন 47 জন জেনেরাল অবজ়ারভারও।
রাজ্যে আসার কথা ছিল স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভারের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ এখন থেকে তাঁরই দেখার কথা ছিল। কিন্তু, নাম ঘোষণা হওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, RSS এর সঙ্গে যোগ আছে স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভার কে কে শর্মার। প্রকাশ করা হয় একটি ছবি। সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় স্পেশাল পুলিশ অফিসার করে পাঠানো হচ্ছে বিবেক দুবেকে।
কে এই বিবেক দুবে ?
১৯৮১ ব্যাচের এই অবসরপ্রাপ্ত IPS চাকরি জীবনে পালন করেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বহুদিন CBI-তে ছিলেন তিনি। তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুজরাতের একটি গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে পেশ করা। তাঁর তদন্তের জেরেই সাজা হয় অপরাধীদের। সেই মামলায় যে 14 জনের সাজা হয়েছিল তার মধ্যে ছিলেন পাঁচজন পুলিশকর্মী এবং দু'জন ডাক্তার। কড়া অফিসার হিসেবে পরিচিত বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার তাঁর হাতেই দায়িত্ব পড়তে চলেছে পুলিশ অবজ়ার্ভারের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি দেখবেন তিনিই।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গেছে 10 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়ে গেছে রুটমার্চ। তারপরও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে উঠছে একাধিক অভিযোগ। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এসে CPI(M) নেতা রবীন দেব অভিযোগ করেন। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের দেখার কথা থাকলেও, তা দেখছে রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর উত্তর কলকাতার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারের কাছে রিপোর্ট তলব করে।
এই সংক্রান্ত খবর :বিতর্কের জের, সরানো হচ্ছে স্পেশাল পুলিশ অবজ়ারভারকে ?