কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। রবিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে নালিশ জানিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁকে ফের একবার রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পরিষয়ীয় মন্ত্রীর উদ্দেশে ৷ সেইমতো সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
গত 8 সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে ধূপগুড়ির ৷ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এই মুহূর্তে বিধায়ক শূন্য অবস্থায় রয়েছে ওই বিধানসভা। এদিন আবার বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপালের। তাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না-হলে বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথের বিষয়টি আরও ঝুলে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত সমাধান চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার তিনি বিধানসভায় জানিয়েছেন, আগেও তিনি দ্রুত বিধায়কের শপথের অনুমতি চেয়ে রাজভবনে চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সেই সময় রাজভবন থেকে কোনও জবাব আসেনি। বরং, রাজ্যপাল নিজে বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে চেয়ে পরিষদীয় দফতর এবং বিধানসভাকে এড়িয়ে বিধায়ককে ফোন করা হয় বলে খবর। তারপরও অবশ্য শপথ হয়নি ৷ এরপর আবারও রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দিল্লির ধরনা নিয়ে প্রচার শুরু তৃণমূলের, চলতি সপ্তাহেই অভিষেকের ভার্চুয়াল কনফারেন্স
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যে কোনও মূল্যেই ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথের দ্রুত ব্যবস্থা করা হোক এই দাবি জানিয়ে আমি চিঠি দিয়েছি। এক্ষেত্রে স্পিকারকে দিয়েই শপথ বাক্য পাঠ করানো হোক।" মন্ত্রী বলেন, "বিধায়ক থাকতেও শপথ না-হওয়ার কারণে পরিষেবা পাচ্ছেন না ধূপগুড়ির মানুষ। এটা সঠিক কাজ হচ্ছে না।" একই সঙ্গে, তিনি এও জানান, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে স্পিকারকে বাদ দিয়ে কখনও কোনও রাজ্যপালকে বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে তিনি দেখেননি। কাজেই এক্ষেত্রেও স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হোক বলেও দাবি জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী।