প্রাক্তনীর কৃতিত্বে গর্বিত সাউথ পয়েন্ট-প্রেসিডেন্সি

প্রাক্তনীর কৃতিত্বে গর্বিত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় । সাউথ পয়েন্টের কথায়, "একজন সাউথ পয়েন্টার এবার একজন নোবেলজয়ী ।"

কলকাতা, 14 অক্টোবর : দেশ ছেড়েছিলেন 1983 সালে । গবেষণার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে । পরবর্তীতে সেখানেই থেকে গেছেন কর্মসূত্রে । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি টানে দেশে ফিরেই বার বার পৌঁছেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে । ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন, দিয়েছেন মূল্যবান উপদেশও । কলকাতার ছেলে মানে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকও, তা এককথায় স্বীকার করেছে প্রেসিডেন্সি । অভিভাবকের সাফল্যে তাই চোখে জল ধরে না রাখতে পারার মতো আনন্দ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের, জানালেন রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ৷

অর্থনীতিতে বাঙালি নোবেল পেয়েছিল 1998-এ অমর্ত্য সেনের হাত ধরে । এবার অভিজিৎ ব্যনার্জির হাত ধরে দ্বিতীয়বার । দু'জনেই প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী । অমর্ত্য সেন যখন প্রেসিডেন্সিতে পড়াতেন তখন ছাত্র হিসেবে ওঁর পড়া শুনত অভিজিৎ । আজ তিনিও নোবেলজয়ী । স্বভাবতই আপ্লুত গোটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । অভিজিৎবাবুর গল্প বলতেই বলতেই প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, "প্রতিবছর উনি আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে । কখনও বছরে একবার, কখনও বছরে দু'বার । শেষবার চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এসেছিলেন । ওঁর বাবা দীপক ব্যানাার্জি ৷ বিখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের । মূলত ওঁর নামেই উৎসর্গ করে লেকচার দেন অভিজিৎ ব্যানার্জি । পুরো বিষয়টার নেতৃত্বে উনিই থাকেন ।"

কেমন লাগছে আজ? এই প্রসঙ্গে দেবজ্যোতিবাবু বলেন, "উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় । এই খবরটা আনন্দে চোখে জল ধরে না রাখতে পারার মতো খবর । সমস্ত প্রেসিডেন্সি পরিবার সত্যিই আনন্দিত । এই গৌরব বাংলার, সারা ভারতের । আমাদের ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের পরে একই বিভাগে নোবেল । সেখানে আবার শিক্ষক ছিলেন অমর্ত্য সেন, ছাত্র অভিজিৎ ব্যানার্জি । উনি আমাদের মেন্টর গ্রুপের সদস্য ছিলেন । তাছাড়া উনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগেরও মেন্টর । ফলে আমাদের বিভাগের অধ্যাপকদের সঙ্গে ওঁর মেইলে যোগাযোগ হয় সবসময় । উনি কলকাতায় এলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে লেকচার দেন । দূরে থেকে হোক, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঁর অবদান অনেকটা । আমরা অভিভাবক হিসেবে ওঁকে পাই । আর অভিভাবকের এরকম সম্মান প্রাপ্তি তো বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন করবেই ।" একইভাবে প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, "এটা একটা অকল্পনীয় অনুভূতি । একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র একই বিভাগে নোবেল পেলেন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিই একটু অন্যরকম ।"

1978 সালের উচ্চ মাধ্যমিক ব্যাচের এই প্রাক্তনীর সাফল্যে কী বলছে সাউথ পয়েন্ট? তারাও ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত । তাঁদের কথায় "একজন সাউথ পয়েন্টার এবার একজন নোবেলজয়ী ।"