কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর:ধারাবাহিক নজরদারি ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সফলতা পেল বিএসএফ ৷ সূত্রের দাবি, গত বছর বিএসএফ শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে 114 কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল । এ বছর সেই জায়গায় 24 সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে 120 কেজি সোনা । যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় 72 কোটি টাকা । জানা গিয়েছে, শুধু সোনা নয়, প্রায় প্রতিদিনই রূপো, গাঁজা, ফেন্সিডিল পাচারের চেষ্টা হচ্ছে বাংলাদেশে । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে 1092 বোতল ফেনসিডিল আটক করেছে বিএসএফ । বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সামগ্রী-সহ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চোরাকারবারীদের পাকড়াও করেছে বিএসএফ কর্মীরা ।
গত শনিবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন 112 ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি বিথারির জওয়ানরা চোরাচালান ব্যর্থ করে ৷ তাঁরা 9.780 কেজি রুপোর অলঙ্কার-সহ একজন চোরাকারবারীকে আটক করেছে । চোরাকারবারী এসব গয়না ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করতে যাচ্ছিল । বাজেয়াপ্ত রূপোর গয়নার আনুমানিক মূল্য 5 লক্ষ 89 হাজার 734 টাকা । এর আগে গত 20 তারিখে নদিয়া জেলা থেকে দুই বাংলাদেশির থেকে প্রায় 1.5 কোটি টাকার নানান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ।
বিএসএফ সূত্রের আরও দাবি, এই পাচার চক্রে যারা ধরা পড়ছেন অধিকাংশজনই নিরীহ । 500 থেকে 2000 হাজার টাকার প্রলোভনে তারা জীবনে ঝুঁকি নিয়ে এই পাচারে অংশ নিচ্ছেন । বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য সেনা জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, "বড়স্তরের চোরাকারবারীরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প টাকার প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে । বড় স্তরের চোরাকারবারীরা এই চোরাচালানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ রূপে জড়িত থাকে না, তারা এই কাজের জন্য গরিব মানুষকে টার্গেট করে ।"