কলকাতা, 14 মার্চ : নভেল কোরোনা ভাইরাসে ( COVID 19 ) আক্রান্ত সাতটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চালু হল স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ( SOP ) ৷ কোনও যাত্রী কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন, তা ঠিক করতে SOP -তে তিনটি ক্যাটেগরি রাখা হয়েছে । COVID-19'এর সংক্রমণ সন্দেহে যে সব যাত্রীকে চিহ্নিত করা হবে, তাঁদের নজরদারিতে রাখার জন্য হোম আইসোলেশনের পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করল রাজ্য ।
চিন, কোরিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইট্যালি এবং ইরান । এই সাতটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য SOP চালু করা হল । কোন যাত্রী কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন কিংবা সংক্রমণ কতটা গুরুতর, SOP -তে সেই বিষয়ে তিনটি ক্যাটেগরি রাখা হয়েছে । যে সব যাত্রী হাই রিস্ক অর্থাৎ, সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে A ক্যাটেগরি । যে সব যাত্রী মডারেট রিস্ক অর্থাৎ, মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে B ক্যাটেগরি । কম ঝুঁকি অর্থাৎ, লো রিস্কে থাকা যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে C ক্যাটেগরি ।
SOP-তে বলা হয়েছে, কোনও যাত্রীর যদি জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট থাকে এবং COVID-19'এর সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমন কোনও দেশ বা অঞ্চলের বাসিন্দা হন অথবা, ওই দেশ বা অঞ্চল কিংবা সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমন স্থানে গত 14 দিনের মধ্যে গিয়েছিলেন । আবার, কোনও যাত্রীর যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে এবং গত 14 দিনের মধ্যে তিনি যদি COVID-19'এর কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসে থাকেন, তা হলে এই যাত্রীকে হাই রিস্কে রাখার কথা বলা হয়েছে । A ক্যাটেগরিতে রাখা এমন যাত্রীকে আইসোলেশনে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে । এই সাতটি দেশ থেকে আগত কোনও যাত্রীর বয়স যদি 60 বছরের বেশি হয় এবং এই যাত্রীর ক্ষেত্রে যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজ়মার মতো কোনও সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই যাত্রীকে মাঝারি ঝুঁকিতে রাখার জন্য বলা হয়েছে ৷ B ক্যাটেগরিতে রাখা এই ধরনের যাত্রীদের 14 দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বলা হয়েছে । কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ওই ব্যক্তির উপসর্গ যদি বাড়তে থাকে, তাহলে তখন এই যাত্রীকে আইসোলেশনে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে । C ক্যাটেগরিতে বলা হয়েছে, এই সাতটি দেশ সহ COVID-19'এ আক্রান্ত অন্য যে কোনও দেশ থেকে আগত কোনও যাত্রীর ক্ষেত্রে যদি জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, এই ধরনের কোনও উপসর্গ না থাকে, তাহলে এই যাত্রীকে 14 দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে । এই সময় এই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখতে হবে । এই 14 দিনের মধ্যে কোনও উপসর্গ যদি দেখা দেয়, তা হলে তাঁর ক্ষেত্রে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে ৷
SOP -র B ক্যাটেগরি অনুযায়ী COVID-19'এর সংক্রমণ সন্দেহে যাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য রাজ্যের কয়েকটি স্থানে সেন্টার চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "গতকাল বারাসতে এমন একটি সেন্টার চালু করা হয়েছে । রাজ্যে আরও কয়েকটি এমন সেন্টার চালুর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । " মোট দু'হাজার জনকে ওই সেন্টারে যাতে রাখা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ তবে শুধুমাত্র, COVID 19 - এ আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রেই বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নয় । আন্তঃরাজ্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও একই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক ৷