কলকাতা, 14 এপ্রিল : লকডাউনের ফলে কাজ হারাতে বসেছেন রাজ্যের লক্ষাধিক শ্রমিক । তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই অসংগঠিত ক্ষেত্রের । এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পশ্চিমবঙ্গের সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা । অধিকাংশ কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে । রাজ্যের কয়েকটি চটকল এবং চা-বাগান খোলা থাকলেও পরিবহন ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় শ্রমিকরা যেতে পারছেন না কর্মস্থানে । সেই কারণে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে । এরপর লকডাউন উঠে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের কাজ থাকবে তো? প্রশ্ন রাজ্যের সিংহভাগ শ্রমিকের মধ্যে । তাঁদের কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ।
শ্রমিকদের কাজের সুরক্ষার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সোমেন মিত্রের
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর কলকারখানার শ্রমিকদের অবস্থা কী হবে সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সোমেন মিত্র । গতকাল সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন তিনি । চিঠিতে শ্রমিকদের কাজের সুরক্ষার দাবি জানানো হয়েছে ।
শ্রমিকদের কাজ হারানোর আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি । চিঠিতে রাজ্যের সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, কর্মচারীদের চাকরি এবং আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও তাঁদের বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে । লকডাউন উঠে যাওয়ার পর রাজ্যের প্রায় 30 শতাংশ শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সোমেন মিত্র । আর্থিক মন্দা ক্রমশ বাড়বে রাজ্যে । সেই অবস্থায় শিল্পপতি এবং ছোটো ও মাঝারি কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের কতটা কাজে বহাল রাখবেন তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে অধিকাংশ শিল্পপতি এবং কারখানার মালিক শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর আগেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সোমেন মিত্র । বহরমপুর, মুর্শিদাবাদসহ হাওড়া, হুগলি, দুই 24 পরগনার প্রায় 42 হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যেই কর্মচ্যুত হয়েছেন । সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ভিন রাজ্যের যে সমস্ত কারখানায় কাজ করতেন, তাঁদের অনেককেই সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কারখানায় আর ফিরতে হবে না কাজের জন্য । এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে কী করবেন এই অসহায় শ্রমিকরা, সেই আশঙ্কার কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সোমেন মিত্র । বিকল্প কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, নিয়মিত খাবারের সংস্থানের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তিনি ।