কলকাতা, 3 ডিসেম্বর : কৃষক সংগঠনগুলির বিক্ষোভে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে । বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় বসলেও তা অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে । কৃষক সংগঠনগুলির একটাই দাবি, কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে । এই পরিস্থিতিতে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আজ এই নিয়ে একাধিক টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি লেখেন, আমি কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে খুবই উদ্বেগে রয়েছি । ভারত সরকারের উচিত অবিলম্বে কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহার করা ৷ তারা যদি আইন প্রত্যাহার না করে তাহলে রাজ্য ও দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাব । প্রথম থেকেই আমরা কৃষকবিরোধী আইনের বিরোধিতা করে আসছি ।"
কৃষকদের ক্রমাগত আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ দিল্লির প্রায় প্রতিটি সীমান্ত ৷ প্রথমে বাধা দিলেও পরে বুরারিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কৃষক সংগঠনগুলিকে অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রস্তাব দেন, সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত সরকার । কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন কৃষকরা । এরপর মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । সেখানে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে । কিন্তু তাও খারিজ করে দেন কৃষকরা । তাঁদের দাবি একটাই- কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে । আর আজ প্রথমে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ পরে কৃষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী ৷ এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বঞ্চিত করেছে এই অভিযোগে পদ্মবিভুষণ পুরস্কার ফিরিয়ে দেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল ।
মমতা টুইটে আরও লেখেন, "কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে ৷ রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা, বিএসএনএল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা বিক্রি করতে তাঁরা পারেন না ৷ পরিকল্পনা ছাড়াই বিকেন্দ্রীকরণ ও বেসরকারীকরণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে ৷ আমরা দেশের সম্পত্তিগুলোকে বিজেপির ব্যক্তিগত সম্পদে রূপান্তরিত করতে দিতে পারি না ।