কলকাতা, 9 জুলাই: বর্ষা শুরু হওয়া মানেই শহর কলকাতায়-জেলায় জেলায় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মশাবাহিত রোগ বা ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ বিগত বছরগুলিতে বর্ষায় বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা পর্যন্ত গিয়েছেন ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে মশাবাহিত রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। তাই এবার আগে ভাগেই সতর্ক স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যভবনের তরফে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে জরুরি সতর্কবার্তা ৷
মরশুম বদলানোর প্রথম থেকেই একাধিকবার বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। পাশাপাশি প্রথম থেকেই বর্ষায় মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত রুখতে কড়া নজর রেখেছে কলকাতা পুরসভা। তবে এবার রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর। সব মেডিক্যাল কলেজ, জেলা মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে স্বাস্থ্যভবনের তরফে জরুরি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, "ডেঙ্গির ব্যাপারে আমাদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ এখন দু'টি জায়গা। এক, নদিয়ার রাণাঘাট এবং দুই, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের মেয়েদের হস্টেলের একাধিক আবাসিক-ছাত্রী ডেঙ্গি আক্রান্ত। আমাদের আশঙ্কা, কলেজের ভিতরেই ডেঙ্গি মশার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।" এদিকে রাণাঘাটের পৌর ও কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় গত দু'সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রমাদ গুনছে দফতর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাণাঘাট স্টেশন লাগোয়া বহু এলাকায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। এরপর স্বাস্থ্যদফতর বিষয়টি পুর ও নগরোন্নন দফতরকে জানায়। পাশাপাশি তারা বিষয়টি জানায় পূর্ব রেল এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। কারণ, সেখানকার একাধিক নির্মীয়মাণ জায়গায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা মিলেছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, পরিস্থিতির দিকে নজর পৌরনিগমের
তবে স্বাস্থ্যভবনের পাশাপাশি ডেঙ্গিকে ঘিরে প্রথম থেকেই সচেতন পুরসভা। বিভিন্ন এলাকায় প্রচারের পাশাপাশি একাধিক পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে তাঁদের পক্ষ থেকে। শুধু এখানেই নয়, টালিগঞ্জ রেল ওভারব্রিজের দু'ধারে এসপি মুখার্জি রোডের উপর কার্যত তৈরি হয়েছে অস্থায়ী ভ্যাট। সেখানে রোজকার গৃহস্থালির আবর্জনা জমে ঢিপি তৈরি হয়ে গিয়েছে। পড়ে থাকছে মাটির ভাঙা পাত্র। তাতে জল জমেছে। মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে রেলের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লিখেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।