বারাসত, 23 জুলাই : করোনা আবহে এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কোনও পরীক্ষায় হয়নি রাজ্যে। তবে,স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট। বৃহস্পতিবার সেই উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ান সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি উচ্চমাধ্যমিকের সর্বোচ্চ স্থানাধিকারীর পরিচয় দেন মুসলিম সম্প্রদায় হিসেবে। বেশ কয়েকবার সেই কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে সংসদ সভাপতি তুলে ধরেন বলেও অভিযোগ। যা ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে।
এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেন,"একজন পড়ুয়ার পরিচয় তিনি সবার আগে শিক্ষার্থী। আবার কৃতীর পরিচয় তার শিক্ষা এবং সাফল্য। সেখানে কোনওভাবে ধর্ম বড় হতে পারে না। সংসদ সভাপতি একথা বলে আদতে ওই পড়ুয়ার মেধাকেই খাটো করতে চেয়েছেন। যা মেনে নেওয়া যায় না"।
এসবের মধ্যেই এদিন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবিতে পথে নামেন এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। জেলা শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে সংসদ সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হন আন্দোলনকারীরা। মহুয়া দাসকে অপদার্থ,অশিক্ষিত বলেও স্লোগান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন :প্রথম স্থানাধিকারির ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ
এই বিষয়ে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য বিশাল দাস বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে গিয়ে সংসদ সভাপতি যেভাবে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর ধর্ম দিয়ে পরিচয় দিলেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। মেধা কখনই ধর্ম দিয়ে পরিচয় দেওয়া যায় না। আবার ধর্মের পরিচয় মেধা দিয়ে হয় না।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই বিক্ষোভ-স্লোগান ভারতবর্ষ রবীন্দ্রনাথ,নজরুল ইসলামের দেশ। এখানে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ হয় না। হিন্দু,মুসলমান সকলেই সবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ওনার(মহুয়া দাস)মতো একজন শিক্ষিত মানুষ কিভাবে ধর্মের ভিত্তিতে পড়ুয়ার পরিচয় দিলেন,সেটাই ভাবতে পারছি না আমরা। ওনার সংসদ সভাপতির চেয়ারে বসে থাকার কোনও যোগ্যতা নেই। অবিলম্বে সেখান থেকে পদত্যাগ করা উচিত। এই দাবিতেই আমরা এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি জেলা শিক্ষা ভবনের সামনে"।
আরও পড়ুন :পরীক্ষা না হলেও সরকারি মূল্যায়নে খুশি উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রুমানা
প্রসঙ্গত,সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিনই টুইটারে সরব হন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান ও রাজ্য বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি এই ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে মহুয়া দাসের মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর হন।