কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন (UGC)'র ভাবনা অনুসারে 26 নভেম্বর সংবিধান দিবস মাথায় রেখে দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'ইন্ডিয়া দা মাদার অফ ডেমোক্রেসি' বা 'ভারত লোকতন্ত্র কি জননী' শিরোনামে বক্তৃতা সভার আয়োজন করতে হবে । এই বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে গৈরিকীকরণের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশনের (SFI) । ইউজিসির এই ভাবনার বিরোধিতা করে হল প্রতিবাদ সভা (SFI claimed central govt is trying to saffronise the education system)।
এই বক্তৃতা সভার কী কী বিষয় আলোচনা করা হবে সেগুলিও গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে । এই নিয়েও পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন । তাঁদের মতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি । এই গাইডলাইন শিক্ষা ও ছাত্র বিরোধী বলেই মনে করছেন তাঁরা (SFI Agitation) ।
এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University) ইউনিটের সভাপতি আনন্দরূপা ধর বলেন, "এই কর্মসূচি গ্রহণ করার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হল না । শুধু তাই নয়, এখানে যেই বিষয়গুলির উপর বক্তৃতা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে, সেগুলি দেখে আমরা শঙ্কিত । এখানে বেছে বেছে এমন বিষয়গুলি নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে আসলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে । নিন্দনীয় বর্ণাশ্রম প্রথা ও জাতিভেদ প্রথার মাধ্যমে সামাজিক স্তরবিন্যাস করার যে কুৎসিত প্রথা সেটিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে । এটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে গ্রিসের মতো ভারতে কোন অভিজাততন্ত্র নেই এবং সেই ভারত সরকারই একমাত্র ভরসা । আজও ভারতের প্রান্তিক অংশে বা গ্রামে এবং শহরে বর্ণভিত্তিক নিপীড়নের হুমকি প্রচলিত এবং বেশিরভাগ অংশেই সামন্তবাদ, অভিজাততন্ত্র এবং পুরুষতন্ত্র বিরাজ করছে । রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ঘটনা আসলে এই নোংরা সমাজেরই নগ্নরূপ ।"
আরও পড়ুন:তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের ঐতিহ্যশালী অবজারভেটরি সংস্কার করার ভাবনা কর্তৃপক্ষের
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "ইউজিসি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি, শুধুমাত্র রাজ্যপালের মাধ্যমে জানানো হয়েছে বিষয়টি । এতে যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । রাজ্যগুলির সঙ্গে এই বিষয় কোনওরকম আলোচনা হয়নি ।"