কলকাতা, 8 অক্টোবর : প্রথমে ব্যাঙ্ক, আর এবার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চালু হল সোনাগাছির যৌনকর্মীদের জন্য। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি ও উষা কোঅপারেটিভ সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই স্টোরটি । এর ফলে সোনাগাছির দুস্থ যৌনকর্মীদের অনেক সুরাহা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। যদিও লকডাউন শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক মাস আগেই ছোটো করে চালু করা হলেও অনেক অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র দোকানে এখনও রাখা হয়নি। সবে মাত্র শুরু হয়েছিল সরবরাহ প্রক্রিয়া তবে তার আগেই কোরোনার জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই স্টোরটি।
লকডাউনের সময় বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেমন সাহায্য এসেছে তেমনই এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থাকার ফলে অনেকটা ছাড়ে খাদ্যপণ্য ও অন্য অত্যাবশ্যক সামগ্রী দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লি সোনাগাছির ব্যবসা। তাই খুব স্বাভাবিকভেবেই ব্যাপক আর্থিক অনটনের মুখে পড়েছেন এখানকার যৌনকর্মীরা । অত্যন্ত কষ্টের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। তাই তাঁদের বাজারের থেকে অনেক কম দামে আবার কখনও বিনামূল্যে সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে । শপিং সেন্টারটির পরিচালনা করেন যৌনকর্মীরাই। গ্রাহকরাও যৌনকর্মী। যদিও বাইরের লোকেরাও এখানে এসে কেনাকাটা করতে পারেন।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক সরোজিৎ জানা বলেন যে, "এখানকার যৌনকর্মীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের একটি শপিং সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা ছিল। যৌনপল্লির ভেতরের দোকানগুলিতে সব জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। সেই কথা মাথায় রেখেই এটি তৈরি করা হয়। তাই প্রথম দিকে কম দামে এদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে চাল, ডাল, তেল, মশলা ও অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ন্যায্যমূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।" তিনি আরও বলেন, শুধু খাবার নয়, এখানে জামা-কাপড়, জুতো সহ নানা ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় ।
সৌজন্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা
দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে সোনাগাছি । এই পরিস্থিতিতে এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে অনেক কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন সেখানকার বাসিন্দারা ।
ডিপার্টমেন্টাল স্টোর
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের এক কর্মী বলেন, "দৈনন্দিন জীবনে যা যা প্রয়োজন পড়ে তার প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায় এই স্টোরে । যেমন চাল, ডাল, আটা, ময়দা,জামাকাপড়, জুতো, বই, ব্যাগ, পেন, পেন্সিল সহ আরও অনেক কিছু। বাজারের থেকে আমাদের দোকানে জিনিসের দাম প্রায় 20 থেকে 24 শতাংশ কম।"