কলকাতা, 26 নভেম্বর: প্রথমে এগরা, পরবর্তীতে দত্তপুকুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ । তারপরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বাজি ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে যত্রতত্র বাজি বানানোর ক্ষেত্রে আর ছাড়পত্র দেবে না সরকার ৷ এক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করবে রাজ্য ৷ সেখানেই তৈরি করতে হবে বাজি।
এমনিতেই একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, আর তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হওয়ায় এবার দিওয়ালিতে বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু ব্যবসায়ীকে বড় ধাক্কার সামনে দাঁড় করিয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি নিয়মের কড়াকড়ি তাদের জন্য যে আরও সমস্যা তৈরি করবে, এটা বুঝতে পেরে সরকারের তরফ থেকে এবার বেশ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে । যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই তাদের বেশ কিছু সাহায্যের সিদ্ধান্ত। মনে করা হচ্ছে এসবের মাধ্যমে শুধুমাত্র রাজ্যের বাজি ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা নয়, এর সঙ্গে যুক্ত গরিব মানুষদের সাহায্যও করতে চাইছে রাজ্য । ইতিমধ্যেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবুজ বাজি এবং ক্লাস্টার তৈরির জন্য সরকারি নীতি তৈরি করা হয়েছে।
এই নীতিতেই কীভাবে বাজি উৎপাদন করা হবে, মজুত করা হবে এবং বিক্রয় করা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত বলা আছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই এমএসএমই দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হয়েছে । সেখানে এই ক্লাস্টার তৈরিতে জমি শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে বাকি পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রাথমিক কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চাইলে বাজি উৎপাদকরা নিজেরা নিজেদের মতো করে ক্লাস্টার তৈরি করতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পরিকাঠামো তৈরির খরচের 90 শতাংশ দেবে রাজ্য।