কলকাতা, 22 জানুয়ারি:জোশীমঠে ভয়াবহ ধসের (Joshimath Crisis) ঘটনায় শতাধিক পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠ ধীরে ধীরে ধসে যাচ্ছে ৷ পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে ও অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে ৷ ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ৷ যে কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে প্রশাসন ৷ বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র । স্যাটেলাইট চিত্রেও জোশীমঠ বসে যাওয়ার ছবি স্পষ্ট হয়েছিল । তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হওয়ায় আপাতত সেটিকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে যাওয়া হযেছে। এরকম পরিস্থিতিতে ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি তোলা হল একাধিক নদীপ্রেমিক ও পরিবেশ সংগঠনের তরফে ।
ম্যানমেড বিপর্যয়:একইভাবে সমস্ত ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দোষী করে ম্যানমেড বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে । কলকাতা প্রেস ক্লাবে শনিবার জোশীমঠের সাম্প্রতিক সংকটের উপর একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে গঙ্গা মিশন, গণ উদ্যোগ সমিতি এবং নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলন । এই তিনটি সংগঠনের মুখপাত্ররা ছাড়াও এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহম্মদ সেলিম । উপস্থিত বক্তারা প্রায় সকলেই জোশীমঠ পরিকল্পনামাফিক শহর গড়ে তোলা ও পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো, গাছ কেটে ফেলা ইত্যাদি ঘটনাকে দায়ী করেছেন । আর এই ঘটনাগুলি প্রশাসনিক মদতেই হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের ।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন: "4.5 সেন্টিমিটার নেমে গিয়েছে জোশীমঠ । যদি প্রতিরোধ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা যায় । আগামিদিনে এইরকম ঘটনা কলকাতা, সুন্দরবন-সহ নদীমাতৃক আমাদের বঙ্গ ও একাধিক জায়গায় ঘটবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায় । ঐতিহাসিকভাবে এবং ভৌগোলিকভাবে প্রত্যেকটি জিনিসের ভার বহনের ক্ষমতা নির্দিষ্ট রয়েছে । এক হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা জোশীমঠেরও নির্দিষ্ট ভার বহন ক্ষমতা ছিল । সেখানে বহু মানুষ বসবাস করছিল । কিন্তু পরিকল্পনামাফিক যেখানে পাহাড় কেটে ফাটল ধরিয়ে হোটেল থেকে রেস্টুরেন্ট গড়ে তুলেছে কর্পোরেট মাফিয়ারা । আর এর পিছনে মুনাফা লুটেছে বহু জমি হাঙ্গড়, প্রশাসনিক আধিকারিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা । তাই এই বিপর্যয় প্রাকৃতিক নয় ম্যানুফ্যাকচারার ডিজাস্টার । এটা জাতীয় বিপর্যয় ।"