কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি : দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন দুই যুবক ৷ আশপাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের বন্ধুরা ৷ কেউ নিষেধ করল না ৷ বরং তাঁরা ব্যস্ত ক্যামেরা হাতে ৷ গতকালের এই দৃশ্যের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে ৷ বন্ধুদের কাছে জনপ্রিয় হতে অনেকেই বিপজ্জনকভাবে সেলফি তুলছেন ৷ কিংবা ভিডিয়ো করছেন ৷ দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার প্রধান কারণ ছিল স্ট্যান্ট ভিডিয়ো রেকর্ড ৷ কিন্তু ঘটে বিপত্তি ৷ একজন পারে উঠে আসলেও অপরজনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি ৷
দুই যুবকের এমন হঠকারিতার জন্য সেলফির 'নেশা'কেই দায়ি করেছেন সমাজের একাংশ ৷ এই বিষয় বিশিষ্ট মনোবিদ রাজ্যশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সেলফি তোলাটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতার পর্যায়ে চলে গিয়েছে ৷" তিনি আরও বলেন, "এটি একটি অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজ়ওর্ডারে পরিণত হয়েছে ৷ অর্থাৎ সমাজের একাংশ মানুষের মধ্য একটি বাধ্যবাধকতা কাজ করছে ৷ যেভাবেই হোক তাঁদের ছবি তুলতে হবে ৷ নতুনত্ব চমক দেখাতে হবে ৷ সেটা নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও ৷ এর পিছনে যে কারণ কাজ করছে তাহল, রাতারাতি বিখ্যাত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৷ নিজেদের প্রকাশ করা ভিডিয়োয় লাইক, শেয়ার পাওয়ার আকাঙক্ষা ৷ অর্থাৎ অপরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা৷"