কলকাতা, 13 জুন:মঙ্গলবার দিনভর বোমাবাজি ও গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছে ভাঙড়ের 2 নং ব্লক ৷ আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ যে ঘটনায় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আইপিএস মহল ৷ ব্লক অফিসের 1 কিলোমিটারের মধ্যে যেভাবে বোমা ফাটানো হয়েছে এবং পুলিশ যেভাবে নির্বিকার থেকেছে, সেই ছবি পুলিশ প্রশাসনের মাথা হেঁট করে দিয়েছে বলেই রাজ্যের আইপিএস-মহলের একাংশ মনে করছে ৷ এই পরিমাণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, সেই খবর কেন ছিল না ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা ৷
এ দিন ভাঙড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে ৷ পুলিশ সূত্রের দাবি, সংখ্যাটা কয়েকশো ৷ বিরোধী প্রার্থীদের লক্ষ্য করে বোমা যেমন ছোড়া হয়েছে, তেমনি পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের দিকেও বোমা চার্জ করে দুষ্কৃতীরা ৷ আর সেখানে পুলিশকে ভয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ৷ কেন এই দৃশ্য দেখতে হবে ? কেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে এত বড় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আগাম তথ্য ছিল না ? সেই সব প্রশ্ন তুলেছে আইপিএস মহলের একাংশ ৷ মূলত, রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের গাফিলতির ছবি ফের একবার স্পষ্ট ৷
তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, সকালেই যখন ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি চলার খবর পাওয়া গিয়েছিল, তখন এসডিপিও এবং স্থানীয় পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যাননি কেন ? কেন এসডিপিও এবং অন্যান্য আধিকারিকরা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন ? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ৷ তাঁদের গলায় স্পষ্টতই পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ দেখা গিয়েছে ৷ 144 ধারা লাগু থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বিপুলসংখ্যায় বোমা বিডিও দফতরের কয়েকশো মিটারের মধ্যে ঢুকল ? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা ৷ তবে, এত প্রশ্নের জবাব কারও কাছেই নেই ৷
আরও পড়ুন:রণক্ষেত্র ভাঙড়ে আরাবুলের ছেলের গাড়ি থেকে উদ্ধার বোমা