কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালু হয়েছে রাজ্যে । অতিমারি আতঙ্ককে উপেক্ষা করেই পড়ুয়ারা আবার স্কুলমুখী হচ্ছে (Pool Car Owners Are In Big Trouble)। তবে ধাপে ধাপে পড়ুয়ারা ফিরলেও স্কুল পুলকার বা স্কুল বাসে তেমন পড়ুয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলকার সংগঠন ।
করোনাকলে লকডাউনের জেরে একটানা বন্ধ ছিল স্কুল । ফলে সঙ্গিন অবস্থায় পড়েছে পুলকারের মালিকরা । ব্যাবসা একেবারে বন্ধ হয়ে থাকায় কোনও উপার্জন হয়নি তাঁদের । তাই গাড়িগুলির মেরামত থেকে শুরু করে ট্যাক্স ও ইন্সুরেন্সের অর্থ বাকি পড়েছে । পাশাপাশি জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে (Trouble For Student Unavailability)। এই দু'য়ের মধ্যে পড়ে জেরবার অবস্থা গাড়ির মালিকদের । এখনও পর্যন্ত 10 থেকে 15 থেকে রাস্তায় নেমেছে ।
আরও পড়ুন:School Fees : মেটাতে হবে বকেয়া ফি, মার্চ থেকে বেসরকারি স্কুলে পুরো বেতন ; নির্দেশ হাইকোর্টের
পুলকার ওনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, "স্কুল আবার চালু হলেও গাড়িতে পড়ুয়াদের সংখ্যা অপ্রতুল । বেশিরভাগ স্কুলেই এখন পরীক্ষা চলছে । নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে এখন বহু স্কুলে স্টাডি লিভ চলছে । তাই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কোনও বাচ্চাই এখন স্কুলে যাচ্ছে না । অন্যদিকে বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল এখনও ক্লাস ওয়ান চালু হয়নি । বহু স্কুলের এক দিন অন্তর পড়ুয়াদের ডাকা হচ্ছে । সব ক্লাস এখনও পুরোদমে চালু হয়নি । তাই গাড়িতে পড়ুয়া সংখ্যা খুবই কম । একটি 13 আসনের গাড়িতে আগে প্রায় 14 জন পড়ুয়া যেত আর সেখানে এখন সেই গাড়িতেই 3 থেকে 4 জন পড়ুয়া যাচ্ছে । পাশাপাশি অভিভাবকরা হয়তো এখনও সংক্রমনের ভয় পাচ্ছেন । তাই তাঁরা নিজেরাই বাচ্চাদের স্কুলে দেওয়া নেওয়া করছেন । তবে সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার পর আবার ধীরে ধীরে অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন (Trouble For Student Unavailability)।"
তিনি আরও বলেন যে, "গাড়ির মেরামতের খরচ ও তেলের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাড়ি চালাতে হলে ভাড়া বাড়াতেই হবে । না হলে আমরা আর পরিষেবা দিতে পারব না। তবে গাড়ির ভাড়া বাড়ালে অভিভাবকরা আপত্তি জানাচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন:Governor Removal Case : রাজ্যপালের অপসারণ মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের
এ প্রসঙ্গেই নর্থ কলকাতা প্রাইভেট ট্রেনাপর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আশীষ ঘোষ বলেন, "স্কুল খুলে গেলেও গাড়িতে সেভাবে বাচ্চা হচ্ছে না । অর্থের অভাবে গাড়িগুলিকে আবার পথে নামাতে গেলে যে কাজগপত্রের প্রয়োজন যেগুলির পূর্ণ নবিকরণ করাতে পারছি না আমরা। নিজেদের পকেটের অর্থ ব্যয় করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে । এছাড়াও আমাদের যে নিয়মিত রুট ছিল সেটাও এখন প্রতিদিন স্কুল না-হওয়ায় ওলটপালট হয়েছে গিয়েছে। তাই বিভিন্ন রুটের জন্য অনেক বেশি সংখ্যক গাড়ি নামতে হচ্ছে । একেকটি গাড়িতে একটি বা দু'টি বাচ্চা যাচ্ছে । তাই তেলের খরচ চালিয়ে আমাদের হাতে দিনের শেষে প্রায় কোনও অর্থই থেকছে না । এই পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে (Trouble For Student Unavailability)।"