নয়াদিল্লি, 22 নভেম্বর : বিধানসভায় মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের মামলায় (Mukul Roy's Disqualification Plea) টানাপড়েন অব্যাহত । তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Mukul Roy) জানিয়ে দিল, নির্ধারিত সময়েই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এনিয়ে বিমানকে যদিও কোনও নোটিস ধরায়নি শীর্ষ আদালত । তবে 21 ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
মুকুলের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে এর আগে বিমানকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । 7 অক্টোবরের মধ্যে মুকুলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানায় ৷ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি । বিষয়টি হাইকোর্টের এক্তিয়ারের বাইরে বলে অভিযোগ করেন তিনি । তার ভিত্তিতে শুনানি তিনি পিছিয়ে 21 ডিসেম্বর করে দিয়েছেন বলে জানান ৷
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee in Tripura : দলীয় কর্মীদের হামলার পর আজ ত্রিপুরায় অভিষেক
সোমবার বিচারপতি এল নাগেশ্বর এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে বিমানের আবেদনের শুনানি ছিল । তাতে দুই বিচারপতি বলেন, "আশাকরি স্পিকার নির্ধারিত সময়সীমা ধরেই এগোবেন এবং আইনানুযায়ী 21 ডিসেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন ৷" আগামী বছর জানুয়ারিতে এনিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানায় আদালত ৷
এবছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়লাভ করেন মুকুল ৷ কিন্তু ভোট মিটতেই ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর ৷ সরাসরি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয় তাঁকে ৷ সেই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত ৷ নিয়ম মাফিক, বিরোধী দলের কাউকেই ওই পদে মনোনীত করা হয় ৷ তাই বিরোধী দল থেকে শাসকদলে যোগ দেওয়া মুকুলের নিযুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ৷
আরও পড়ুন:Attack on Trinamool Congress in Tripura : ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের পথে তৃণমূল
এনিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে মুকুলের সদস্যপদ খারিজের দাবি তোলেন বিমানের কাছে ৷ দলবদল আইনের উল্লেখ করে 17 জুন লিখিত পিটিশন জমা দেন তিনি ৷ এর পর বিজেপি সাংসদ অম্বিকা রায় জুলাই মাসে বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ সেই নিয়ে এখনও টানাপড়েন চলছে ৷