কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: ভারতের সংবিধান অনুসারে, এদেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো তিনটি সম্পূর্ণ পৃথক স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ তাদের প্রত্য়েকের আলাদা দায়িত্ব রয়েছে ৷ তারা ইচ্ছা করলেই একে অপরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না ৷ কিন্তু, ইদানীংকালে তেমনটাই ঘটছে ৷ মন্ত্রিসভা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত আইনসভা এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে স্বাভাবিক সমন্বয় ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ! সোমবার কার্যত এই অভিযোগই তুললেন প্রবীণ রাজনীতিক তথা তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy comments on Judiciary) ৷ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Biman Banerjee) ৷
নবনির্বাচিত বিধায়কদের বিধানসভার কাজকর্ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ উদ্যোক্তা ছিলেন স্পিকার স্বয়ং ৷ সেই অনুষ্ঠানে বক্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন সৌগত ৷ সেখানেই বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে বেশ কিছু অভিযোগ করেন তিনি ৷ সৌগত বলেন, আইনসভা, বিচারব্যবস্থা এবং সরকার, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের গণতন্ত্র ৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে এই তিন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বিঘ্নিত হচ্ছে ৷ তার ফলে সংঘাত বাড়ছে ৷ কখনও দেখা যাচ্ছে, বিচারব্যবস্থা আইনসভার কাজে হস্তক্ষেপ করছে ৷ আবার কোথাও সরকার বিচারব্যবস্থার ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে ৷ যত দ্রুত সম্ভব এই সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত ৷