কলকাতা, 7 জুলাই: কার দখলে থাকবে গ্রাম বাংলা ? এই প্রশ্নের উত্তর আগামিকাল শনিবার সকাল থেকে ব্যালট বাক্সে বন্দি হতে শুরু করবে ৷ বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার জনতার রায় দেওয়ার প্রক্রিয়া ৷ কিন্তু গত একমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে, তাতে ভোটপর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না কারও ৷ তাই আগামিকাল সকাল থেকে সকলের নজর থেকে গ্রামীণ বঙ্গের দিকে ৷
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন: গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ - এই তিনটি স্তরে ভোট দিতে ভোটারদের ৷ ভোট হবে ব্যালটে ৷ লোকসভা বা বিধানসভার মতো থাকছে না ইভিএম ৷ তাই ভোটগ্রহণ থেকে ভোটদান পুরো প্রক্রিয়াই বেশ জটিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই বুথে বুথে সকাল থেকে লম্বা লাইন থাকবে ৷ সারা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ভোট দু’টি স্তরেই হয় ৷ সেখানে আবার 22 বছর পর এই ভোট হতে চলেছে ৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের 22টি জেলায় 61 হাজার 636টি বুথ রয়েছে ৷ এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা 4834 ৷ শতাংশের হিসেবে 7.84 ৷ ফলে এই বুথগুলির দিকেই বেশি নজর থাকবে সকলের ৷ সেখানে কিছু ঘটছে কি না, সেই দিকে যেমন বঙ্গবাসীর নজর থাকবে, তেমনই প্রশাসনই গোলমাল ছাড়াই ওই বুথগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে তৎপর হবে ৷
কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এবার মোট ভোটারের সংখ্যা 5 কোটি 66 লক্ষ 74 হাজার 566 ৷ এর মধ্য়ে পুরুষ ভোটার 2 কোটি 88 লক্ষ 78 হাজার 995 ৷ মহিলা ভোটার রয়েছেন 2 কোটি 77 লক্ষ 94 হাজার 452 ৷ অন্যান্য 1119 ৷
আরও পড়ুন:মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিল কমিশন
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা: রাজ্য পুলিশ এবং ভিন রাজ্য থেকে আনা পুলিশের মাধ্যমেই এবার পঞ্চায়েত ভোট সারতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু আদালতের রায়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকছে ভোটের নিরাপত্তায় ৷ প্রথমে 22 কোম্পানি ও পরে 800 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দফায় দফায় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী বাহিনী এখনও এসে পৌঁছায়নি ৷