কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর:নামে তাঁদের দারুণ মিল ৷ দু'জনেরই ভাল নাম শুরু স বা এস দিয়ে ৷ আবার ডাক নামের আদ্যক্ষরও একই ৷ বাংলায় ব অর্থাৎ ইংরেজির বি ৷ আর কাজে তো তাঁরা এক কথায় একে-অপরের পরিপূরক ৷ এমন দু'জন মানুষের মিল শুধু নামেই নয়, জন্মদিনেও ৷ একই দিনে পাশাপাশি জন্মদিনের কেক কাটার নজিরও রয়েছে ৷ বলছি, দ্বিতীয় প্রজন্মের ফেলুদা (Feluda) ও তাঁর স্রষ্টার কথা ৷ আজ জন্মদিন বাবু দা অর্থাৎ সন্দীপ রায় (Sandip Roy) এবং বেণু দা অর্থাৎ সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakraborty)৷
ইন্ডাস্ট্রির বেণুদার ফেলুদা হয়ে ওঠার পিছনে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন সন্দীপ রায় । বেণু-বাবুর জুটিতে তৈরি হয়েছে বাক্স রহস্য (1996), বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (2004), কৈলাসে কেলেঙ্কারি (2007), টিনটোরেটোর যিশু, গোরস্থানে সাবধান (2010), রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য (2011), বাদশাহী আংটি (2014), ডবল ফেলুদা (2016) ।
আরও পড়ুন:Aruna Bhatia : প্রয়াত অক্ষয় কুমারের মা অরুণা ভাটিয়া
জটায়ু অর্থাৎ সন্তোষ দত্ত চলে যাওয়ার পর আর ফেলুদা বানাতে চাননি সত্যজিৎ রায় । আবার ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করতে চান - এই আবদার ছিল সব্যসাচীর । দীর্ঘকায়, উজ্জ্বল, বুদ্ধিদীপ্ত চাহুনিসম্পন্ন সব্যসাচীকে সে দিন ফিরিয়ে দেননি মাণিকবাবু । পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তনয় সন্দীপ রায়ের কাছে । ততদিনে সন্দীপ রায়ের করা হয়ে গিয়েছে 'ফটিক চাঁদ'। তাঁর ভাবনায় যদি ফেলুদা থাকে, তা হলে সব্যসাচী জায়গা পেলেও পেতে পারেন, এটাই মনে করা হয়েছিল । জায়গা পেলেনও বেণুদা । তারপরেই সন্দীপ রায়ের হাত ধরে তৈরি হল একের পর এক ফেলুদার ফিল্ম । তোপসে বদল হয়েছে অনেকবার। কিন্তু ফেলুদা ছিলেন বেণুদাই ।