কলকাতা, 29 মে:জয়ের তিন মাসের মধ্যে দলবদল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-ঘনিষ্ঠ বাইরন বিশ্বাসের ৷ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিধায়ক ৷ সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের সভার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি ৷ তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ মাস তিনেক আগে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রায় 22 হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন বাইরন ৷ তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় রাজ্য বিধানসভা কার্যত ফের বাম-কংগ্রেস শূন্য হয়ে গেল ৷
এদিন তৃণমূলে যোগদানের পর বাইরন বলেন, "আমার জয়ে কংগ্রেসের অবদান ছিল না ৷ আমি বরাবরই তৃণমূল করি, তৃণমূলের টিকিট পাইনি বলে কংগ্রেসে যাই ৷ তৃণমূলের ভোট না পেলে আমি এত বেশি ভোটে জিততে পারতাম না ৷ আমি বিশ্বাসঘাতক কি না সময় বলবে ৷ আমার বিশ্বাস এরপর আমি আরও বেশি ভোটে জিতব ৷ কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি ৷ জনগণের হয়ে আগে কাজ করেছি, তাঁদের ভোটে জিতেছি ৷ কংগ্রেস 2021 বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জিততে পারেনি ৷" বাইরনের দাবি, তিনি কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না, বিজেপির বিরুদ্ধে এরাজ্যে একমাত্র তৃণমূলই লড়াই করতে পারে ৷
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাগরদিঘির হারে বড় ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ৷ জেলা তৃণমূলের অন্তর্তদন্বে ওই খারাপ ফলের কারণে উঠে আসে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও ৷ সাগরদিঘিতে বাইরনের জয় ও তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারে তৃণমূলের পক্ষে থাকা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামল কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এদিন বাইরনকে দলে টেনে কার্যত সাগরদিঘি পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল ৷