কলকাতা, 30 জুন: প্রায় সাড়ে 11 ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পর শুক্রবার রাত 11্র্রটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোলেন সায়নী ঘোষ । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে শুক্রবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি । আনা হয়েছিল রাতের খাবারও । শেষ পর্যন্ত জেরা শেষ হতেই ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, "তদন্তে 100 শতাংশ সহযোগিতা করছি ।"
শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় সায়নীকে তলব করেছিল ইডি । তবে তার কিছুটা সময় আগেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান সায়নী । এরপর থেকে ইডি দফতরেই ছিলেন যুব তৃণমূল নেত্রী । এর মাঝেই ঘড়ির কাঁটায় রাত পৌঁনে দশটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরের তৃতীয় তলায় যেখানে সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি আধিকারিকরা, সেখানে এসে পৌঁছয় প্যাকেট বন্দি খাবারও। ইডি সূত্রে খবর, সায়নী ঘোষকে একাধিক ভিডিয়ো দেখিয়ে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সকল ভিডিয়োতে সায়নী এবং কুন্তলকে একত্রিত দেখা গিয়েছে। ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, সায়নী ঘোষের একাধিক বক্তব্যে চূড়ান্ত অসঙ্গতি মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখার পর ফের আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে তাঁকে ।
এদিন সকাল 11 টা 22 মিনিট নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর দফতরে আসেন সায়নী ঘোষ। সঙ্গে তিনি আনেন বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রথমেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন একজন মহিলা আধিকারিকের নেতৃত্বে মোট চার জন ইডি অফিসার । জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর 12টা 10 মিনিট নাগাদ সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, প্রথমেই সায়নী ঘোষকে দেখানো হয় কুন্তল ঘোষের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন। যদিও সংশ্লিষ্ট কথোপকথনে কী তথ্য রয়েছে তা সামনে আনেননি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন প্রথমেই দেখানো হয় তৃণমূল নেত্রীকে ।