কলকাতা, 16 জুন : চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে । রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন উচ্চপদে। পাশাপাশি যোগ্য ছাত্র তৈরিতেও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। এহেন প্রফেসর ডা: রেজ়াউল করিমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর ছাত্ররা। বৈশিষ্ট্য, নিজের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উজাড় করে ছাত্রদের সামনে বলা। রেজ়াউল গতকাল এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে। তবে এই প্রথমবার আন্দোলনের তাঁবুর তলায় দাঁড়িয়ে কেউ পরামর্শ দিলেন, “ আন্দোলন চলুক, পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউট ডোর। যাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের ভুল না বোঝে ।"
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান তাঁবুতে এসেছেন অনেকেই। বলা ভালো প্রতিদিনই আসছেন বহু মানুষ। নানা পেশার। গতকাল যেমন এলেন বেশকিছু আইনজীবী। শুক্রবার এসেছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনের মতো বুদ্ধিজীবীরা। প্রত্যেকেই সমর্থন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। অন্য জগতের মানুষের পাশাপাশি সেখানে আছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসক। গতকাল অনেকের মতোই এসেছিলেন রেজ়াউল। আন্দোলনের সমর্থনে রাখেন বক্তব্য। বলেন, “ প্রশাসনিক প্রধানকে প্রধানের মতোই কাজ করতে হবে। রাজনীতিতো সবসময়ই করা যায়। আমরা কেউ নিরপেক্ষ বললে ভুল হবে। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও দলের সমর্থক। কিন্তু যখন আমরা হাসপাতালে ঢুকি, রোগী দেখি, তখন আমাদের অন্য কোনও মত নেই । তখন আমরা সবাই চেষ্টা করি রোগীকে বাঁচাতে । আর উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, আমরা পদবি দেখে চিকিৎসা করি। এর থেকে নিম্নমানের রাজনৈতিক বক্তব্য আমি আর শুনিনি। এই ধরনের বিভেদ যেটা উনি করেন, সেটা যে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে, সেটা আমি ভাবতে পারিনি।"
রেজ়াউল লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের তরফে লড়েছেন বীরভূম কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানিও হয়। পরে বামফ্রন্টের তরফেই তিনি ভোটে লড়াই করেন। আজ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, “ 5 জনকে ধরা হয়েছে বলা হচ্ছে, আমার তো কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ! যে নামগুলো আছে তার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য পরিচয় আছে বলে শুনছি ।"