কলকাতা, 17 জুন : গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গালওয়ানে প্রকৃত সীমান্তরেখা বরাবর ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন 20 জন জওয়ান । তাঁদের মধ্যে দু'জন রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ।
আজ টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন," দেশের জন্য যে আত্মবলিদান তাঁরা দিয়েছেন বা তাঁদের পরিবারের লোকেরা যা হারিয়েছেন, তার মূল্য কোনওভাবেই মেটানো সম্ভব নয় । আমরা এই সময়ে আমাদের দেশের সন্তানদের পাশে দাঁড়াব । রাজ্যের যে দুইজন লাদাখে শহিদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার । প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে ।"
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-চিন যে সংঘর্ষ হয়েছে তাতে শহিদ হয়েছেন বাংলার দুই জওয়ান । রাজেশ ওরাং । বয়স 25 । বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার বেলঘরিয়া গ্রামে । অন্যজন বিপুল রায় । বয়স 35 । বাড়ি আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানা এলাকায় ।
সোমবার রাতে যখন গোটা দেশ ঘুমিয়েছিল, তখন বাকি জওয়ানদের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রহরা দিচ্ছিলেন রাজেশ ও বিপুল । সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে বিনিদ্র প্রহরা । সেইরাতেই হয় সংঘর্ষ । ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের লিবারেশন আর্মির টানা ছয়-সাত ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ । সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন কমপক্ষে 20 জন ভারতীয় জওয়ান । আরও অনেকে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে আলিপুরদুয়ারে । গত ডিসেম্বরেই শামুকতলার বাড়ি থেকে ঘুরে গেছিলেন বিপুল । কথা ছিল খুব তাড়াতাড়ি আবারও ফিরবেন । কিন্তু আর হল না । আর রাজেশ ? মহম্মদবাজারের বাড়িতে ছোটো বোন রয়েছে । কিছুদিন আগেই বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর । এক লহমায় সব স্বপ্ন ভেঙে গেল ওই দুই পরিবারের ।