কলকাতা, 25 মে : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ ৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝড়ের অভিমুখ ওড়িশার বালাসোর ৷ তবে যশের প্রভাব পড়বে বঙ্গের বেশকিছু এলাকাতেও ৷ উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ 24 পরগনায় ঝড় দাপট দেখাতে পারে ৷ এছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে ৷ তবে যশ-ই প্রথম নয় ৷ এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড় বাংলায় হানা দিয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলার একাধিক এলাকা ৷
পশ্চিমবঙ্গে হানা দিয়েছে একাধিক ঝড় ৷ তবে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম উল্লেখযোগ্য ঝড় অবশ্যই আয়লা ৷ 2009 সালের 25 মে সাগরে আছড়ে পড়ে আয়লা ৷ বঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা কার্যত লণ্ডভণ্ড করে দেয় আয়লা ৷ তবে আয়লার গতিপথ ছিল উপকূল এলাকা থেকে পাহাড়ের দিকে, দক্ষিণ থেকে উত্তরে ৷ পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে আয়লা উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ৷ ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই ৷ সর্বোচ্চ 110 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়ে আয়লা ৷ প্রায় 300 কিলোমিটার ছিল ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাসার্ধ ৷ এছাড়া সমুদ্রের ভরা কোটালের জন্য ব্যাপক ক্ষতি হয় সুন্দরবন সহ উপকূলের একাধিক এলাকা ৷ মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের ৷
এরপর প্রায় 205 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ নিয়ে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী ৷ তবে সেবার এই ঘূর্ণিঝড় আঘত হেনেছিল ওড়িশার পুরীর উপকূলে ৷ প্রত্যাশা মতোই ওড়িশায় ধ্বংসলীলা চালায় ফণী ৷ তবে সেযাত্রায় কোনও ক্রমে বেঁচে যায় পশ্চিমবঙ্গ ৷ কারণ, ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ার পর স্থলভাগের দিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যায় ফণী ৷ ততক্ষণে যথেষ্ট শক্তি হারিয়েছিল ফণী ৷ তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসেব অনুযায়ী প্রায় 30 হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে ৷