কলকাতা, 7 অগস্ট:রাজারহাট, হাতিয়াড়া ও জ্যাংড়াতে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল মামলার চূড়ান্ত রায়ের ওপর প্রার্থীর ভবিষ্যত নির্ভর করবে ৷ সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকাবাসী ভোট বয়কট করেছিলেন। এলাকার মানুষ ভোট বয়কট করলেও 8 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর 11 জুলাই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় বুথে যত সংখ্যক ভোটার ছিল তার থেকে অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা ৷
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয়লাভের পর তাঁদের প্রত্যেকের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন বিডিও। ভোট বয়কট করার সত্ত্বেও কীভাবে এত ভোট পড়ল এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন সিপিএমের মন্ত্রী গৌতম দেবের ছেলে তথা তসিপিআইএম নেতা সপ্তর্ষি দেব। দেখা যায় ভোট বয়কট করলেও ভোট পড়েছে 100 শতাংশ ৷
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম, টাকা দিয়ে চাকরি কেনা 4 শিক্ষক গ্রেফতার আদালতের নির্দেশে
রাজারহাট, হাতিয়াড়ায় 722 ভোটার। অথচ তৃণমূল কংগ্রেস ভোট পেয়েছে 1028। জ্যাংড়াতে 584 ভোটার। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে 597টি ভোট ৷ বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এদিন ডিগি আইজি ও বিডিও রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এই মামলার ফের শুনানি। অন্যদিকে, ভাঙরের বিডিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। বিডিও'র বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আইএসএফের বিজয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।
অভিযোগ প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড গঠনের প্রথম মিটিংয়ে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে ডেকেছে বিডিও। তৃণমূলের প্রার্থী আখের আলি মোল্লা ভোট পেয়েছে 387টি। আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার পেয়েছে 595টি। ভাঙড় 2-এর আইএসএফ বিজয়ী প্রার্থীকে শংসাপত্রও হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিডিও। তিনিই আবার বোর্ড গঠনের জন্য নোটিশ পাঠান বলে অভিযোগ। বিডিও গেজেট নোটফিকেশন প্রকাশ করেও তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। আগামিকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেই এই মামলা শুনানি ৷
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরূপাকে