কলকাতা, 20 অগস্ট:বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্বিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার পর মুহুর্তেই ডিন অফ সায়েন্স পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অঙ্কের আরও এক অধ্যাপক। আচমকাই রবিবার নিজের ডিন পদ থেকে অধ্য়াপক সুবিনয় চক্রবর্তী ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে নিজের ইস্তফা পত্র মেইলের করেছেন বলেই খবর। জানা গিয়েছে, সেখানে ইস্তফার কারণ হিসেবে অবশ্য ব্যাক্তিগত কারণ লিখেছেন তিনি ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কমিটি গত শুক্রবার থেকে তদন্ত শুরু করেছে ৷ কমিটিরই প্রধান ছিলেন অধ্য়াপক সুবিনয় চক্রবর্তী। তাঁর নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছিল আট সদস্যের এই কমিটি। এই তদন্তের জেরে একাধিকবার হস্টেলেও যেতে হয়েছিল সুবিনয় বাবুকে। বহু ছাত্রের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি ৷ তবে কেন আচমকা তদন্তের মাঝ পথ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: 'সিসিটিভি ম্যাজিক শব্দ মনে হচ্ছে', নিরাপত্তার প্রশ্নে মন্তব্য যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের
Resignation of Dean of Science of JU: উপাচার্য নিয়োগের পরই পদত্যাগ ডিন অফ সায়েন্সের
নিজের ডিন পদ থেকে অধ্য়াপক সুবিনয় চক্রবর্তী ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে নিজের ইস্তফা পত্র মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন বলে সূত্র মারফৎ খবর মিলেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে শনিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবার ছুটির দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, বিশ্বিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ডিন পদ থেকে পদত্যাগ করে মেইল করেন অপর অঙ্কের অধ্য়াপক। তবে কি এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়েই কোনও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তাঁর মধ্যে ? যদিও নতুন উপাচার্যকে নিয়ে শিক্ষক মহলে দ্বিমত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু সুবিনয় চক্রবর্তীর এই পদত্যাগের কারণে তদন্তে কোনও সমস্যা দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই উঠছে বিস্তর প্রশ্ন ৷
অন্যদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তেও প্রায় রোজই উঠে আসছে নতুন তথ্য ৷ শনিবার মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ৷ যদিও নগরপালের প্রশ্নের কোনও উত্তর সৌরভ দেননি বলেই লালবাজার সূত্রে খবর ৷