কলকাতা, ১৩ মার্চ : গোডাউনে গজিয়ে উঠেছিল কারখানা। তৈরি হচ্ছিল নামী কম্পানির ভেজাল গুঁড়ো দুধ। গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিশ। সেই সূত্রেই আজ বড়বাজারে হানা দিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও এক ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ।
বড়বাজারে ভেজাল গুঁড়ো দুধের কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার ২ - arrest
গোডাউনে গজিয়ে উঠেছিল কারখানা। তৈরি হচ্ছিল নামী কম্পানির ভেজাল গুঁড়ো দুধ। গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিশ। সেই সূত্রেই আজ বড়বাজারে হানা দিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
![বড়বাজারে ভেজাল গুঁড়ো দুধের কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার ২](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/images/768-512-2684644-963-ac9ca437-7620-45f3-8708-d4dbef9b09b0.jpg)
কমদামের বাজার চলতি গুঁড়ো দুধে মেশানো হচ্ছে অ্যারারুট। সঙ্গে চিনির গুঁড়ো। তারপর তা নামী কম্পানির প্যাকেটের ভিতর পুরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাজারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কয়েক মাস আগে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ হানা দেয় ১৬৭ নম্বর নেতাজি সুভাষ রোডের একটি বাড়ির পাঁচতলায় দীপক কুন্ডু এবং সৌভিক কুন্ডুর কারখানায়। সৌভিক দীপকের ছেলে। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সৌভিক। তারপরও ভেজাল গুঁড়ো দুধ তৈরির প্রবণতা যে কমেনি তার প্রমাণ মিলল আজ। তবে এবারের মোডাস অপারেন্ডি একটু আলাদা।
বাজার চলতি সস্তার দু'রকমের গুঁড়ো দুধ মেশানো হচ্ছিল ১৬৭ NS রোডের রাজাকাটরায়। তারপর তা পোরা হচ্ছিল একটি নামী ব্র্যান্ডের প্যাকেটে। চক্রের মাথা তিনজন। সুনীল তাঁতি, অরূপ ভাদুড়ি, দিলীপ সাহা। আজ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা প্রথম দু'জনকে বমাল গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয় গুঁড়ো দুধের বেশ কিছু কন্টেনার। উদ্ধার হয়েছে নামী ব্র্যান্ডের বেশকিছু প্যাকেট। দিলীপ সাহার খোঁজ চলছে।