কলকাতা, 20 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুর পর তাঁর নদিয়ার বাড়িতে বাম থেকে শাসক শিবির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের দুই প্রতিনিধি। রাজন্যা হালদার এবং সঞ্জীব প্রামাণিক আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুর দু'টো নাগাদ ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যেতে পারেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যও। এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্রছাত্রী যাচ্ছেন মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে, এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। ওই ছাত্রের হত্যাকারীদের শাস্তি এবং ব়্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে। এমনকী ওই পড়ুয়ার নদিয়ার বাড়িতে বহু মানুষের আনাগোনাও দেখা গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে শুরু করে নওশাদ সিদ্দিকী, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকেই দেখা করে এসেছেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। এই বিষয়ে রাজন্যা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য নেতৃত্বে আমরা যাচ্ছি আমাদের ওই ভাইয়ের বাড়িতে। আমরা হয়তো ওকে আর পাব না। তবে যে ভরসা ওই পরিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রেখেছিলেন তাতে সহমত জানাতে এবং ওনাদের পাশে আছি এই বার্তা দিতেই আমরা যাব।"
JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। এবার ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সংগঠনের দুই প্রতিনিধি। এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে কলকাতার ছাত্রীর মৃত্যু, পরিবারকে তদন্তের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সংগঠনের সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজন্যা হালদারকে। চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সঞ্জীব প্রামাণিককে। দায়িত্ব দেওয়ার পরের দিনকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেখা যায় রাজন্যাকে। প্রতীকী সিসিটিভি হাতে নিয়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়। আগামী 10 দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানোর দাবি তারা তুলে ধরেন। ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। এর পাশাপাশি যদি কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি লাগাতে না-পারে তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগিয়ে দেওয়া হবে এই কথাও শোনা যায় রাজন্যার মুখে।