কলকাতা, 17 অগস্ট : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রথম দিনেই রেকর্ড আবেদন জমা পড়ল । রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, প্রথম দিনই আবেদন করেছেন প্রায় 10 লাখ মানুষ । এই তথ্য যে কোনও সরকারি প্রকল্পের জন্য একদিনে আবেদনের ক্ষেত্রে রেকর্ড । এমনই জানিয়েছে নবান্ন ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন, বাড়ির মহিলাদের মাসিক হাত খরচ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প নিয়ে আসছে । যার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার । গতকাল অর্থাৎ সোমবার তার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় । দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে নিজের এলাকায় তথা পাড়ায় বসেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন মহিলারা । নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য 883টি শিবিরে প্রথম দিনেই প্রায় 15 লাখ আবেদন জমা পড়েছে । এই আবেদনের 70 শতাংশ অর্থাৎ প্রায় 10 লাখ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র জমা করেছেন প্রথম দিনেই । গ্রাম, শহর, মফঃস্বল মিলিয়ে অন্য কোনও প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য এমন উন্মাদনা এই প্রথম ।
গতকাল ভোর রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকল্পের লাভ নেওয়ার জন্য মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । সমাজের নানা স্তর থেকে মহিলারা এই প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এবার এদের মধ্যে থেকে ঝাড়াই বাছাই করে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে মহিলাদের হাতখরচ দেওয়া হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা এতটাই যে, বিজেপি নেতার স্ত্রী পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছেন । এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে এদিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সরকারি শিবিরে এসে লাইন দিয়ে আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা সুভাষ মান্নার স্ত্রী ।
আরও পড়ুন,লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাত খরচের বদলে মহিলাদের প্রশিক্ষণের পক্ষে মত বিশেষজ্ঞদের
মঙ্গলবার এই রেকর্ড সংখ্যক মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আগ্রহ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তাপস রায় জানিয়েছেন, আসলে প্রকল্প কতটা সময়োপযোগী তারই প্রমাণ এই প্রকল্প । এই প্রকল্প মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় সাধারণ মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মহিলাদের আগ্রহ ছিল খুব বেশি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে গিয়েছিলেন, আমার মনে হয় তা 100 শতাংশ সফল হয়েছে ।