কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: কোভিড সংক্রমণের কারণে অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রের মতোই খারাপ প্রভাব পড়েছিল আবাসন শিল্পেও (Real Estate Industry)৷ ধস নেমেছিল ফ্ল্যাট, হাউজিংয়ের বিক্রিতে ৷ কিন্তু বর্তমানে করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে অন্যান্য অনেক শিল্পক্ষেত্রের মতোই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আবাসন শিল্পও ৷ এরাজ্যের আবাসন শিল্পে সেই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে (Real Estate Industry Business) ৷
উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের রিপোর্টকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার মনে করছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে আবাসন শিল্পের জন্য যথেষ্ট সুযোগ বাড়ছে । এই রাজ্যে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী রাজ্য ৷ এই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান 7 শহরে চলতি বছরের প্রথম 9 মাসে মোট যত সংখ্যক আবাসন বিক্রি হয়েছে তার 6 শতাংশই হয়েছে কলকাতায় ৷ শেষ ত্রৈমাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় 5000 ইউনিট ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৷ যা রেকর্ড ৷ তার আগের ত্রৈমাসিকে এই সংখ্যা ছিল 4,800 (Real Estate Industry Business in Kolkata) ।
আরও পড়ুন:'নির্দল' শিলাকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন করল কংগ্রেস
গত বছর এই একই সময়ের তুলনায় এই বিক্রির হার বেড়েছে প্রায় 54 শতাংশ । আবাসন দফতরের তথ্য বলছে, করোনার কারণে গত বছর যেভাবে আবাসন বিক্রিতে পতন হয়েছিল, তাতে সেই সময় (গত বছর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে) আবাসন বিক্রি হয়েছিল 2 হাজার 300 ইউনিট । প্রসঙ্গত, অতিমারিতে ধাক্কা খাওয়া আবাসন ক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের সুবিধা চালু হয় (Real Estate Industry in post Covid period)। দফায়-দফায় তার মেয়াদ বেড়ে হয়েছে ডিসেম্বর। এরই মধ্যে বেড়েছে বাড়ি থেকে কাজের পরিসর ও স্থায়ী ঠিকানার খোঁজ। যা আবাসনের চাহিদাকে ঠেলে তুলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল (Real Estate Industry Business in Kolkata is growing) ।
এই মুহূর্তে তথ্য বলছে, এই সময়ে সবচেয়ে বেশি আবাসন বিক্রি হয়েছে পূর্ব কলকাতায়। সেখানে বিক্রির পরিমাণ 43 শতাংশ। উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায় বিক্রির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে 30 শতাংশ এবং 23 শতাংশ । এখানেই শেষ নয়, নাইট ফ্যাঙ্কের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে বৃহত্তর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে যথাক্রমে 6 হাজার 709, 6 হাজার 238, 5 হাজার 819 ইউনিট ৷ রাজ্যের আবাসন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, চলতি বছরের শেষে কলকাতায় আবাসন বিক্রির হার নতুন রেকর্ড করতে পারে । ইতিমধ্যেই শিল্প ও বাণিজ্য মহল থেকে এই আভাস পাওয়া গিয়েছে । কোনও সন্দেহ নেই এর প্রভাব খুব স্বাভাবিকভাবেই পড়বে রাজ্যের অর্থনীতিতেও ।