কলকাতা, 19 মে: আদালতের রায়ের পরে ফের ময়দানে সিবিআই । কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সিবিআই নোটিশ পাঠিয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে । আগামিকাল কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে । আর এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তর এড়ালেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । তবে বিরোধীরা তাঁকেও পৌর নিয়োগ দুর্নীতিতে ডাকার দাবি তুললে সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ডাকলে যাব ।’’
অন্যদিকে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা । সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তদন্তের জন্য ওকে ডাকা হবে এটা ঠিক ছিল ৷ ও বরং বারবার আদালতে গিয়ে সেটা আটকাবার চেষ্টা করছিল । এতবড় দুর্নীতি হঠাৎ ঘটে যাওয়ার নয় । এই দুর্নীতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই যুক্ত । সেই জন্যই বারবার তদন্ত এড়ানোর চেষ্টা করেছেন ।’’
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ব্যাপারটা অনেক দিন ধরে চলছে । কেউ কেউ চাইছিলেন জল ঘোলা করে যদি পালিয়ে বাঁচা যায় । আদালতের নির্দেশে সিবিআই ডেকেছে । তাঁকে আসতেই হবে । হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় । আইনের গতিধারাকে রাজনীতি দিয়ে আটকানো সম্ভব নয় । কেউ যদি মনে করে রাজনীতির ধমক দিয়ে বন্ধ করব সেটা সম্ভব নয় । আইন তার নিজের পথে চলবে সেটা এক্ষেত্রে নিবিড় ভাবে প্রমাণিত হল ।’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘যাতে সিবিআই ডাককে এড়াতে পারেন, তাই তিনি এই নবজোয়ার যাত্রার ব্যবস্থা করেছেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত এড়াতে পারলেন না । ওদের মিটিং ওরা ভার্চুয়াল করবে কি একচুয়াল করবে, সেটা ওদের ব্যাপার । ওনিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই । ওদের কার্যক্রম নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই । আমাদের বক্তব্য দুর্নীতির মূলচ্ছেদ হোক । দুর্নীতিকারী যাতে কোনোভাবেই ছাড়া না পায়, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ।’’