কলকাতা, 21 মার্চ: কোরোনার জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতি । সরকারি নির্দেশিকা বলছে, এক জায়গায় বেশি মানুষের জনসমাগম করা যাবে না । আবার অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাও বন্ধ রাখা চলবে না । খোলা রাখতে হবে রেশন দোকান । রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার । ফলে ভিড় হবেই । কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চলছিল খাদ্য দপ্তরে । আজ বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স হয় । সেখানে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনকে সপ্তাহে সাড়ে পাঁচদিন দোকান খোলা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে । দোকান বেশিদিন খোলা থাকলে ভিড় কম হবে ৷ এই ভাবনা থেকেই এমন অনুরোধ, জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । তিনি জানান, সরকারের এই অনুরোধ মেনে নিয়েছে রেশন ডিলাররা ।
কোরোনার জের : সপ্তাহে সাড়ে পাঁচদিন খোলা থাকবে রেশন দোকান, নির্দেশ খাদ্য দপ্তরের - ration shops will remain open five day in a week
রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনকে সপ্তাহে সাড়ে পাঁচদিন দোকান খোলা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে । দোকান বেশিদিন খোলা থাকলে ভিড় কম হবে ৷ এই ভাবনা থেকেই এমন অনুরোধ, জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।
কোরোনার জেরে বন্ধ হয়ে যাবে বাজার । এমন গুজব ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্র । মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসবাণীর পরেও সেই গুজব থামেনি । শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের পরিস্থিতিটা একইরকম । প্রধানমন্ত্রীও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া অন্য কিছু জমা করতে বারণ করেছেন ৷ কিন্তু তারপরও কাজের কাজ হয়নি ৷ সাধারণ মানুষের আতঙ্কের সুযোগ নিতে শুরু করেছে কালোবাজারিরা । এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে চাল, আলুর দাম । এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে । সেই চাল দেওয়া হবে রেশন দোকানের মাধ্যমে । এতে কালোবাজারি কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । এখন একটি পরিবারকে মাসে একবার রেশন দেওয়া হয় । মাস দুয়েক হল এই ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্যের খাদ্য দপ্তর । রেশন দোকানগুলি সপ্তাহে একদিন কিংবা দুদিন খোলা থাকে । সেই দিনগুলিতে রেশন দোকানের সামনে লম্বা লাইন লেগে যায় । কিন্তু কোরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বলছে একটি জায়গায় বহু মানুষের সমাগম করা যাবে না । আর তাই বেশিদিন দোকান খুলে কম সংখ্যক মানুষকে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । যাতে ভিড় এড়ানো যায় । একইসঙ্গে বলা হয়েছে লাইনে লোক দাঁড়াবে এক মিটার দূরত্বে । পাশাপাশি ক্রেতাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করবে রেশন দোকানের মালিক ।
এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক Etv ভারতকে বলেন, "বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা একটা পরিবারের মতো হয়ে যাই । সেই জায়গা থেকেই রেশন ডিলারদের সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ দিন দোকান খোলার অনুরোধ করা হয়েছে । এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে রেশন ডিলাররা । একদিনে একটি পাড়া কিংবা দুটি পাড়া হিসেবে রেশন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে । লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলা হয়েছে ।"