কলকাতা, 1 জানুয়ারি: এ বার এই রাজ্যেও নির্মাণ করা হবে রাম মন্দির । আর এই মন্দির নির্মাণ করবে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা । 22 জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । আর ওই দিনই পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে যাত্রা করবে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা । আর সেখানেই নির্মাণ করা হবে সিয়ারাম মন্দির ।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী জানিয়েছেন যে, 22 জানুয়ারি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে যাত্রা করা হবে । তারপর সেখানে পৌঁছে অযোধ্যা পাহাড় ও সীতাকুণ্ড সংলগ্ন অঞ্চলে 'সীতা রাম' মন্দির স্থাপনর সংকল্প পুজো করা হবে ।
তিনি জানান, "এটা আমাদের কাছে খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, সনাতনী হিন্দুদের আবেগ রাম মন্দির পুনঃনির্মাণের দিনে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মাত্র সাত হাজার মানুষ, যাঁরা সরকার ঘনিষ্ঠ বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব, তাঁদেরই শুধু রাম মন্দির উদঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুমতি দিয়েছেন । কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রচার কি প্রভু রামচন্দ্রের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ? এটা খুব দুঃখের যে, এই রামমন্দির জনআন্দোলনের পিটিশন আমরা অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা করেছি ৷ অথচ আজ আমরাই সেই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য । উপযুক্ত সম্মান দিয়ে ডাকা হয়নি আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানি এবং মুরলী মনোহর যোশীকেও । তাই ভারতের সমস্ত রাজ্যের মানুষদের আমরা আহবান জানাচ্ছি, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে ওই 22 জানুয়ারি অযোধ্যা পাহাড় যাত্রার ।"
তিনি জানান যে, শাস্ত্রে কথিত আছে, অযোধ্যা যেমন শ্রীরামের জন্মভূমি, তেমনই পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলাস্থিত অযোধ্যা পাহাড় শ্রীরামচন্দ্রের কর্মভূমি । এখানে শ্রীরাম, দেবী সীতা এবং ভ্রাতা লক্ষণ বেশ কিছু দিন সময় কাটিয়েছেন । এমনকি তৃষ্ণার্ত সীতা দেবীকে জল দিতে গিয়ে রামচন্দ্র তির দিয়ে ভূগর্ভের সুমিষ্ট জল তুলে আনেন, যা আজ সীতাকুণ্ড নামে পরিচিত । যেহেতু ভগবান রামচন্দ্রের পরবর্তী অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তাই অযোধ্যা পাহাড়ের উপর গীতাপাঠ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে 22 জানুয়ারি । মহাসভার পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ওইদিন অযোধ্যা পাহাড় যাত্রার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ।