পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Rabindra Sarabor And Subhas Sarobar: পরিবেশ আদালতের নির্দেশ, ছটপুজোর আগে বন্ধ কলকাতার দুই সরোবরের গেট

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে দু'দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarabor) ও সুভাষ সরোবর (Subhas Sarobar) ৷ কেএমডিএ'র তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat
ছট পুজোর আগে বন্ধ কলকাতার দুই সরোবরের গেট

By

Published : Oct 29, 2022, 5:43 PM IST

কলকাতা, 29 অক্টোবর: এবছর ছট নিয়ে তৎপর কেএমডিএ ৷ পরিবেশ দূষণ ও জলাশয়ের ক্ষতি আটকাতে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarabor) ও সুভাষ সরোবরে (Subhas Sarobar) শনিবার সন্ধে 7টা থেকে রবিবার বিকেল 4টে পর্যন্ত জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে (Rabindra Sarabor And Subhas Sarobar)৷ শহরের দুই প্রান্তে দুই সরোবর কলকাতার দূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শব্দবাজি ফাটানো থেকে শুরু করে সরোবরের জলে নানা জিনিস ফেলা ও তার জেরে দূষণ দুই সরোবরের বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলেছে । তাই পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিষিদ্ধ হয়েছে পুজোর ভাসান, ছট পুজোর আচার পালন ।

তবে সেই নির্দেশ পালনে এই দুই সরোবরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেএমডিএ ব্যর্থ বলেই কয়েকবছর অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মী থেকে শুরু করে প্রাতঃভ্রমণকারীরা । এই দুই জলাশয় বাঁচানোর দাবিতে বহুবার রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা । তাতে ফল হয়েছে, কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে কেএমডিএও ৷ কয়েক বছর ধরে দুই সরোবরের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় । এবারও বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি গেটেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে শনিবার সন্ধে থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই দুই সরোবর (Rabindra Sarabor And Subhas Sarobar closed before Chhath puja)।

বিকল্প জলাশয়ের তালিকা

আরও পড়ুন:ফের এসি বাস পরিষেবা চালু করছে এনবিএসটিসি

ছট পালনের জন্য কেউ সেখানে এলেও যাতে বিকল্প জায়গায় তাঁরা যেতে পারেন তার জন্য অস্থায়ী জলাশয়ের তালিকাও টাঙানো হয়েছে । এই সিদ্ধান্তে খুশি পরিবেশ কর্মী থেকে প্রাতঃভ্রমণকারীরা । তবে তাঁরা জানান, এই দু'দিন তাঁরা নজরে রাখবেন যাতে কেউ ভিতরে না যেতে পারেন । পাশাপশি, প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার উপরও লক্ষ্য রাখা হবে । প্রসঙ্গত, আগে কাতারে কাতারে মানুষ শোভাযাত্রা নিয়ে আসতেন রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে । জলে নেমে আচার পালন করা হতো । লাগামহীন ভাবে বাজি ফাটানোর জেরে যেমন, শব্দদূষণ হতো তেমনই বায়ুদূষণও ছিল ৷ যার প্রভাব পড়ত প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ৷ পাখি থেকে গাছ, ক্ষতি হতো সকলের। জলের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে একাধিক মাছ মারা যেত । জলজ প্রাণীর উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ত।

ABOUT THE AUTHOR

...view details