কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুতে কেটে গিয়েছে একমাস ৷ তবুও বিশ্ববিদ্যালয় বসেনি সিসিটিভি । ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা কোথায় ? যদিও ব়্যাগিং বিরোধী সচেতনতার অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে । কিন্তু কী শাস্তি হবে অপরাধীদের ? কীভাবেই বা বন্ধ করা যাবে এই ব়্যাগিংমূলক অপরাধ ? মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে একটি নাগরিক কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজনরা।
নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন সেনা কর্মীদেরকে ব্যবহার করানোর সিদ্ধান্তের কথা উঠে এসেছিল। যা কোনওমতেই মেনে নেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এবার তারই বিরোধিতা করলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, "সেনা নিয়োগ করে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সৃষ্টি করা যায় না।" শুধুই সেনা নন, নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তুলেছে সিসিটিভি নিয়েও। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগালেও পরিচালনা কে করবেন ? সেই প্রশ্নই তুলেছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
এর সঙ্গে তিনি নাম না-করেই উপাচার্য নিযুক্ত করা নিয়েও মুখ খোলেন। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, "দুঃখজনক এই ঘটনা ঘটার পর ছাত্ররা যখন রাস্তায় নামল তখন দু’টো ঘটনা দেখলাম। সংঘ পরিবারের একজনকে শীর্ষ দায়িত্বে নিয়ে আসা হল। দুই, রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র সংগঠন এখানে ব্রাঞ্চ খুলল।" 9 অগস্ট রাতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা থেকে কেন্দ্র করে বার বার প্রশ্ন উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সেই কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করলেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র।