পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jul 29, 2020, 4:54 AM IST

ETV Bharat / state

শুক্রবার থেকে গণস্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু কলকাতায়

কলকাতা পৌরনিগমের বোরোগুলিতে গণস্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হবে । পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করা হবে । এছাড়া থার্মাল গানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে ।

The public health examination started on Friday on behalf of the Calcutta Municipal Corporation
The public health examination started on Friday on behalf of the Calcutta Municipal Corporation

কলকাতা, 28 জুলাই : শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পালস অক্সিমিটার দিয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পৌরনিগম । ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি বোরোতে 1000 অক্সিমিটার বিলি করা হয়েছে । পৌরকর্মীরা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করবেন । এছাড়া থার্মাল গানের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হবে ।

কোরোনা নির্ধারণ করতে গণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম । জানালেন পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেন, "কোরোনার সংক্রমণ বাড়ছে । অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গহীন হওয়ার ফলে নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না । তাই এই গণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"

তিনি আরও বলেন, “শহরজুড়ে অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করা হবে । 16 টি বোরোর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন 500 জনের এই পরীক্ষা করা হবে । অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায় ।” এছাড়াও কলকাতা পৌরনিগমের যে 9টি গাড়ি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছে সেই কাজ চলতে থাকবে বলে জানা গেছে ।

এদিকে সব কর্মীদের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পৌরনিগম । এই মর্মে পৌরনিগমের কমিশনার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন । এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে নিয়মিতভাবে কলকাতা পৌরনিগমের সমস্ত কর্মীর সোয়াব টেস্টের নমুনা পরীক্ষা করা হবে ।

রক্সি সিনেমা হলে পৌরকর্মীদের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে । ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যেহেতু এই মুহূর্তে কোরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সবাই যদি সচেতন হয় তাহলে কোরোনা মোকাবিলা করা সহজ হবে । পৌরনিগমের কর্মীরা সরাসরি রাস্তায় নেমে কাজ করছে তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা তাদের সব থেকে বেশি ।”

এছাড়া তিনি বলেন, “পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সেফ হোমের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে নতুন করে আরও একটি সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে । আনন্দপুরের সেফ হোমে 400 বেড আছে । তা বাড়িয়ে 700 করা হচ্ছে । সেইসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের যে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলি আছে সেখানে 50টি বেড সংরক্ষণ করা হবে । সমস্ত কর্মীকেই সংক্রমণ মোকাবিলা করতে আর্সেনিকা এল ওষুধ দেওয়া হবে ।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details