কলকাতা, 14 জানুয়ারি:অস্থায়ী কর্মচারীদের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয় উঠল কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Protest in R G Kar) ৷ শনিবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, 2002, 2004 এবং 2011 সালে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংস্থার দ্বারা অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয় ৷ পরবর্তীতে হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে তাঁদের ৷ কিন্তু, চাকরি স্থায়ী হয়নি ৷ উপরন্তু, দফায় দফায় বদলে গিয়েছে পরিচালন সংস্থা ৷ অর্থাৎ, একবার নিযুক্ত হওয়া কর্মীরাই নতুন নতুন সংস্থার আওতায় থেকে হাসপাতালের কাজ করে গিয়েছেন ৷ আর এবার কোনও কিছু না জানিয়েই বদলে দেওয়া হয়েছে পরিচালন সংস্থা ৷ তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা ৷
হাসপাতাল (R G Kar Medical College and Hospital) সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বছরের (2023) শুরুতে নতুন করে টেন্ডার পাস হয় ৷ কিন্তু, সেই সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের তরফে কর্মীদের কাউকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ৷ আর এবার, একটির বদলে দু'টি সংস্থাকে অস্থায়ী কর্মীদের পরিচালনার ভার দেওয়া হয় ৷ কাজের সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দুই দলে ভাগ করে দেওয়া হয় ৷ এক-একটি দলে থাকছেন 272 জন করে অস্থায়ী কর্মী ৷ স্থির হয়েছে, তাঁদের দু'টি দলের দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট দুই সংস্থা ৷
আরও পড়ুন:আর জি করে শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
পলাশ সাহা নামে হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী এই প্রসঙ্গে জানান, "শনিবার সকালে হঠাৎই বাইরে একটি তালিকা টাঙানো হয় ৷ সেখানে কিছু কর্মীর নাম লিখে বলা হয়, তাঁরা এখন যে কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন, সেখান থেকে অন্য কোম্পানিতে যেতে হবে ! সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রায় 120 জনের ৷ তখন কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, তালিকাটা কারা ঠিক করেছেন ৷ কারণ, যে তালিকা টাঙানো হয়েছে, সেখানে কারও স্বাক্ষর বা কোনও সিলমোহর ছিল না ৷ সাদা কাগজে নাম লিখে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ হাসপাতালের যে সমস্ত কর্মীদের অন্য কোম্পানিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেখানে সার্জারি বিভাগ, গাইনি বিভাগের কর্মীদের নাম রয়েছে ৷ কিন্তু, নামের তালিকা কারা ঠিক করেছেন, সেই প্রশ্নেরও কোনও জবাব পাইনি আমরা ৷ তবে, হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷"
কর্মীদের বক্তব্য, স্ত্রীরোগ বিভাগের কর্মীদের অন্য সংস্থায় গিয়ে যদি নতুন কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা কাজ করবেন কীভাবে ? গত প্রায় 13-14 বছর ধরে এক-একজন এই পেশায় রয়েছেন ৷ অথচ, আজ হঠাৎ কোনও কিছু আগাম না জানিয়ে পরিচালন সংস্থা বদল করে দেওয়া হল ! এটা কীভাবে সম্ভব ? যদিও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এখনও মেলেনি ৷ শনিবার দুপুরে হাসপাতালে আসে পুলিশ ৷ তাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠে যায় ৷ প্রতিবাদীরা জানিয়েছেন, সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন তাঁরা ৷