পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Sari and Sarna Religion: সারি ও সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে বেসরকারি প্রস্তাব পাস বিধানসভায়

শুক্রবার আদিবাসীদের সারি ও সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি দিতে বেসরকারি প্রস্তাব পেশ হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) ৷ পরে তা পাসও হয়ে যায় ৷ তবে বিজেপির দাবি, এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) ভোট রাজনীতিক অংক ৷

West Bengal Assembly
West Bengal Assembly

By

Published : Feb 17, 2023, 7:54 PM IST

কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়ে গেল আদিবাসীদের ধর্ম সারি ও সারনাকে (Adivasi Sari and Sarna Religion) নিয়ে বেসরকারি প্রস্তাব । শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় একটি বেসরকারি প্রস্তাব (Private Member Bill) নিয়ে আসেন বিধায়ক রাজীব লোচন সরেন, পরেশ মুর্মু ও মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ।

এই প্রস্তাবে বলা হয়, আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠী প্রকৃতিকে দেবতা মনে করে পুজো করে ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে, এখনও পর্যন্ত তাদের পৃথক জনজাতি সত্তাকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃতি দেয়নি । বর্তমান আদমশুমারিতে বিভিন্ন ধর্মীয় জনজাতি গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও আজ অবধি আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠী কোনও স্বীকৃতি পায়নি এবং সারি ধর্ম ও সারনা ধর্মকে এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের আসন্ন জনগণনাতে কোনও স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই । তাই যাতে তাদের পৃথক ধর্মীয় সত্তার অস্তিত্ব উপলব্ধি করা যায়, সেই কারণে এই আদিবাসী জনজাতির অস্তিত্বকে আসন্ন জনগণনাতে তাদের ধর্মীয় সত্তাকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ।

প্রসঙ্গত এদিনের এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় শাসকদলের তরফে বক্তব্য রাখেন রাজীব লোচন সরেন, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও পরেশ মুর্মু । বিজেপির তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন বুধরাই টুডু, কমলাকান্ত হাঁসদা ও মনোজ টিগ্গা ।

এদিন এই প্রস্তাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজেপির (BJP) মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভালো কথা ৷ কিন্তু একে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে আরও বিস্তৃত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে ৷ আদিবাসী মানে শুধু ওঁরাও, মুন্ডা বা সাঁওতাল নয় । আদিবাসীদের নিয়ে একটা বৃহত্তর সার্কেল রয়েছে । এটা অনেক বড় বিষয় । সঙ্গে বিহার ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক রাজ্য জড়িয়ে রয়েছে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বক্তব্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল । আদিবাসীদের মধ্যেও একাধিক জনজাতি রয়েছে ৷ সকলের মন না বুঝে একতরফাভাবে যদি তাদের উপর এই ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা ঠিক হবে না ।’’ একই সঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে এও বলা হয়েছে, ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্য বিধানসভায় এই প্রাইভেট বিল আনা হয়েছে ।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘রাজ্য মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই দু’বার এই সারি ও সারনা ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল স্বীকৃতির জন্য ৷ কিন্তু কেন্দ্র তাতে কর্ণপাত করেনি । এক্ষেত্রে নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই এই স্বীকৃতি দরকার ছিল । আজকে সেদিক থেকে এই উদ্যোগ অবশ্যই রাজ্যের আদিবাসী সমাজ স্বাগত জানাবে । দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী সমাজের দাবি ছিল তাদের এই ধর্মের স্বীকৃতি যেন বিধানসভা থেকে দেওয়া হয় । এক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আদিবাসীদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি ।’’

অন্যদিকে বিজেপির তোলা রাজনীতির অভিযোগ খণ্ডন করেছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের আদিবাসী মানুষজনের আবেগের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অনেকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সমস্ত বিধায়ককে চিঠি দিয়েছেন যে তিনি দিল্লিতে চিঠি দিয়েছিলেন সারি ও সারনা ধর্মকে এবং তাঁদের ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে । এর সঙ্গে ভোট রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ।’’

আরও পড়ুন:আদিবাসী সম্প্রদায়ের 'সারি-সারনা' ধর্মের স্বীকৃতিতে বিল আনছে রাজ্য

ABOUT THE AUTHOR

...view details