কলকাতা, 19 জানুয়ারি : 28, 29 ও 30 জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে বেসরকারি বাস ও মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হল । জ্বালানি তেলের দাম সহ আরও কয়েক দফা দাবিতে বহুদিন ধরেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বেসরকারি বাস মালিকরা । তাই এবার সবকটি সংগঠন মিলে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ।
বর্তমানে জ্বালানির দাম যে জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে তাতে একেবারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বেসরকারি ও মিনিবাস মালিকদের। তাও সরকার বেসরকারি বাস মালিকদের সমস্যার প্রতি উদাসীন মনোভাব পোষণ করছে বলে অভিযোগ ।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা বহুবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। তাই ধর্মঘটের পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই আমাদের কাছে। সরকারকে এই বিষয় একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই হবে। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এমাসের 28, 29 ও 30 তারিখ বাংলাব্যাপী সমস্ত বাস ও মিনিবাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন : বেসরকারি বাস ও মিনি বাস মালিকদের প্রতি উদাসীন সরকার, অভিযোগ মালিকপক্ষের
তিনি আরও বলেন, "আমরা বার বার বলেছি আবারও বলছি যে ডিজ়েলের উপর জিএসটি বসাতে হবে এবং পাশাপাশি ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও নিতে হবে । আজ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিনডিকেটের দপ্তরে 5টি সংগঠন মিলে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
লকডাউনের পর থেকেই তেলের দাম কুলিয়ে উঠতে না পারায় একাধিক বাস রাস্তায় নামছে না । অন্যদিকে যাত্রী অপ্রতুল হওয়ার কারণে বহু রুটে বাসও বন্ধ হয়ে গেছে। বাস মালিকরা বলেন, এখন 50 শতাংশ বাস রাস্তায় চলছে। তাই ধর্মঘটের দিনগুলিতে সেই 50 শতাংশ বাসও মিলবে না।
ধর্মঘটের দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের নাকাল হওয়ার বিষয়ে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, "লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকেই আমরা লাগাতার আমাদের সমস্যার কথা পরিবহন দপ্তরকে জানিয়েছি । শত সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও ধর্মঘটের পথে হাঁটেনি । তবে এখন আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন বলিষ্ঠ প্রতিবাদের পন্থা না নিলে আমাদের ভোগান্তির কথা কারও কানে পৌঁছাবে না।"