কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর : 1 অক্টোবর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে চলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় । ইতিমধ্যেই 2020-21 শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক অ্যাক্টিভিটি ক্যালেন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে ।
বিজ্ঞপ্তি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয়েরই অড সেমেস্টার অর্থাৎ, প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সেমেস্টারের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম 2021 সালের 7 মার্চ পর্যন্ত চলবে । সেমেস্টার শেষের মূল্যায়ন 2021 সালের 10 থেকে 24 মার্চের মধ্যে হবে এবং ফলাফল এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে । যদিও অ্যাক্টিভিটি ক্যালেন্ডারে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভরতির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের শিক্ষা অ্যকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে ৷
ক্লাস করানোর জন্য CBCS-র আবশ্যকীয় শর্তাবলী মেনেই বিভাগগুলি বিকল্প পদ্ধতিতে চলবে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ এক আধিকারিক বলেন, "পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভাগগুলি কার্যকরী এবং উদ্ভাবনী টিচিং-লার্নিং প্রক্রিয়ার মাধ্যম ডিজ়াইন করতে পারে । ডিসট্যান্স-ডিজিটাল মাধ্যম এই রকম একটি পদ্ধতি হতে পারে।"
তিনি নিশ্চিতভাবে জানান, ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং ভার্চুয়াল টিচিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন । তবে, কোরোনা অতিমারি নিয়ে চলা পরিস্থিতিতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ক্যালেন্ডার পরিবর্তন হতেও পারে ।
2020-21 শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক অ্যাক্টিভিটি ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসলিডেশন (IC) কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে ৷ IC-র তরফে তোলা দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, "ল্যাব নির্ভর বিভাগগুলির ক্ষেত্রে বা যেসব বিভাগে ফিল্ডওয়ার্ক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তাদের জন্য বিকল্প উপায় রাখতে হবে ৷ যেমন, যে সকল বিভাগে শারীরিক উপস্থিতি অত্যাবশ্যকীয়, যেমন, পারফর্মিং আর্টস, জিওলজি সহ অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় রাখতে হবে । ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারছে না ৷ সেক্ষেত্রে লাইব্রেরি ডিজিটাইজ়ড করা হোক ৷ পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত একাধিক দাবি তুলেছে ৷