কলকাতা, 6 অগাস্ট : শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ রাজনৈতিক নেতাদের ৷ আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা শোকজ্ঞাপন করেছেন ৷
যেমন আবদুল মান্নান বলেন, "সংকটময় সময়ে শ্যামলাদার চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখের ৷ রাজ্যের বড় ক্ষতি হয়ে গেল ৷ যখনই কোনও বিষয়ে সাহায্য চেয়েছি, পেয়েছি ৷ কোনও দিন ফিরিয়ে দেননি ৷ খারাপ আচরণ করতেন না ৷ কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলেই ওঁর কাছে যেতাম ৷ খুবই রসিক মানুষ ছিলেন ৷ যে কোনও আন্দোলনে সবার আগে থাকতেন ৷ লড়াকু নেতা ছিলেন ৷''
'শ্যামলবাবুর মৃত্যুতে আমি শোকাহত, প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরির... অধীর চৌধুরির কথায়, ''শ্যামলবাবুর মৃত্যুতে আমি শোকাহত ৷ আমার খুব খারাপ লাগছে ৷ পরোপকারী মানুষ ছিলেন ৷ রাজ্য আর এক বড় নেতাকে হারাল ৷''
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''শ্যামলদার মতো একজন ফাইটারের চলে যাওয়াটা দুঃখের ৷ শ্যামল চক্রবর্তী রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ৷ ছাত্র আন্দোলনের দিকপাল নেতা ছিলেন ৷ এখন আমাদের কোরোনা নিময় মেনেই শেষকৃত্য করতে হবে ৷''
তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়,''শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুর খবর শুনে খুবই মর্মাহত ৷ তার পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই ৷ খুবই লড়াকু মানুষ ছিলেন ৷ স্পষ্ট করে নিজের মতামত জানাতেন ৷''
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ, ''আমি শ্যামলদাকে দুইভাবে দেখেছি ৷ শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম নেতা ছিলেন ৷ রাজ্য একজন অন্যতম নেতাকে হারাল ৷''
শোকপ্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়... SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, বাম ছাত্র আন্দোলনের সর্বজনবিদিত নেতা ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী ৷ ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ৷ বাম-ডান সব দলই একজন লড়াকু নেতা হিসেবে শ্যামল চক্রবর্তীকে মনে রাখবে ৷
CPI(M) রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র জানিয়েছেন, আমাদের পার্টির প্রবীণ নেতা কমরেড শ্যামল চক্রবর্তীর বেলা দুটো নাগাদ জীবনাবসান হয়েছে । আজ দুপুরের আগে ও পরে পরপর দুবার ওঁর হার্ট আ্যটাক হয়। প্রথম বার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পর আর একটা আ্যটাকে সব শেষ হয়ে যায় । যেহেতু উনি কোভিড পজ়িটিভ ছিলেন সেই কারণে ওঁর শেষ যাত্রার কর্মসূচি পরে জানানো হবে । আমাদের সমস্ত পার্টি অফিসে পার্টি পতাকা অর্ধনমিত থাকবে ।
শ্যামল চক্রবর্তীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ সুজন চক্রবর্তী ও আবদুল মান্নানের... শমীক লাহিড়ি স্মৃতিচরণ করে বলেন, "হারালাম নেতা, সহযোদ্ধা, বন্ধু, দাদা, বই পড়ানোর শিক্ষককে । আন্দোলন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা এমনভাবে কে শোনাবেন ?60-এর দশকে ছাত্র আন্দোলনের ঝোড়ো হাওয়ায় আত্মপ্রকাশ । জেল, আত্মগোপন, পুলিশের লাঠি, বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা । দীর্ঘ ছয় দশকের লড়াইয়ের জীবন । লড়াই শেষ হবে না শ্যামলদার । মানুষের লড়াইয়ের মাঝেই বেঁচে থাকবেন ।"
