কলকাতা, 21 অক্টোবর: রাত প্রায় সাড়ে 12টা ৷ রণক্ষেত্র হয়ে উঠল করুণাময়ী চত্বর । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে চাকরিপ্রার্থীদের । তারপর তাঁদের ধর্নামঞ্চ থেকে সরিয়ে দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী । 17 অক্টোবর, সোমবার থেকে লাগাতার ধর্নায় বসেছিলেন 2014-য় টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনে থেকে তাঁদের সরাল প্রশাসন (TET Candidate Agitation in Karunamoyee) ৷
সন্ধ্যা থেকেই একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছিল করুণাময়ীর সামনে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী । গভীর রাতে অ্যাকশনে নামে তারা । 84 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আন্দোলনে থাকা অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের 15 মিনিটের মধ্যে তুলে দেয় পুলিশ । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা । সেই সময় বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন । অনেকে জখম হয়েছেন ।
সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট আন্দোলনকারীদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দিল পুলিশ আরও পড়ুন: রাত গড়িয়ে সকাল, এপিসি ভবনের সামনে ধরনায় টেট উত্তীর্ণরা
প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ কারণ রাতে বিশেষ অনুমতি ছাড়া মহিলাদের এভাবে আটক করা যায় না । প্রায় চারটি বাসে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় । যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে করুণাময়ীর ওই এলাকা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ । সেই সময় চাকরিপ্রার্থীদের কাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানতেন না চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসা যুবক-যুবতীরা । পরে দেখা যায়, তাঁদের নিউটাউন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
সোমবার থেকে একপ্রকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল বলেই জানা গিয়েছে ৷ যদিও শিক্ষা দফতরের তরফে বারে বারে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা জানানো হচ্ছিল ৷ তাতে অবশ্য কান দেননি অনশনরত আন্দোলনকারীরা ৷ করুণাময়ীতে পুলিশ পৌঁছনোর পাশাপাশি হাজির ছিল বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা পল ৷ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্য স্তব্ধ করে দেবে গেরুয়া শিবির ৷ বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি চাইতে এসেছে ৷ একে যদি রাজনৈতিক রং বলা হয় তো তাই ৷ চাকরি চাইতে এসেছে মারামারি করতে আসেনি ওরা।" 144 ধারা জারির কারণে ডিওয়াইএফআইয়ের চার জনের প্রতিনিধি দল দেখা করতে পারেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ।
আরও পড়ুন: বিচারাধীন বিষয় বলে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী