কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি:রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন রত্নেশ বর্মা নামে এক ব্যবসায়ী । এরপর রত্নেশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করে সিবিআই (Police and IAS officers under scanner of CBI) তাঁর অফিস ও বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র পাওয়া যায় ৷ সে সব ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে ।
নজরে একাধিক আমলা ও পুলিশকর্তা: কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা পেয়েছিলেন একাধিক আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তা । পুলিশকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিক, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অথবা আইসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকও সামিল রয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর । সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, 2021 সালের নভেম্বর মাসে রত্নেশ বর্মার অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করেছিল আয়কর দফতর ।
রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার: সূত্রের খবর, রত্নেশ বর্মার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আসানসোল, দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন পুলিশ কর্তা । এছাড়াও রত্নেশ বর্মার ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি পেনড্রাইভ এবং মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশকিছু রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । একাধিক সাংকেতিক ভাষায় বিভিন্ন হিসেব করা রয়েছে ।
উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে নানা তথ্য: তদন্তে নেমে আয়কর দফতরের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল ইতিমধ্যেই হাতে এসে পৌঁছেছে সিবিআই কর্তাদের । জানা গিয়েছে, রত্নেশ বর্মার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক ডায়েরি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সেই ডায়েরির প্রতিটি পাতায় কোন ব্যক্তিকে কত পরিমাণে টাকা কার মাধ্যমে দেওয়া হবে, তার একটি কাঁচা হিসাব তৈরি করেছিলেন রত্নেশ ।