কলকাতা, 27 অগস্ট:পেয়ার (ভালোবাসা) নয়, পিআর (জনসংযোগ)-এ বেশি গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মণিপুর ইস্যুতে বিঁধতে গিয়ে আজ এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ৷ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরেই ইসরো পরিদর্শনে গেলেও মণিপুরে না যাওয়ায় মোদিকে একহাত নেন তিনি ৷ তাঁর কটাক্ষ, যন্ত্রণার থেকেও আনন্দকে বেশি প্রাধান্য দেন মোদি ৷
রবিবার সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সায়নী ঘোষ ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এক সমাবেশে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী ৷ তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে,
"আজকে তিন মাসের উপর মণিপুরে যে ঘটনা ঘটে চলেছে, তার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী 36 সেকেন্ড বরাদ্দ করেছেন ৷ তাও সংসদের বাইরে ৷ বোধহয় আমাদের বিরোধী দলের সাংসদদের ওঁনার পায়ে পড়া বাকি ছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী, একবার তো আসুন ৷ নিজের দেশ ৷ বিজেপি শাসিত রাজ্য, ডাবল ইঞ্জিন সরকার জ্বলছে, পুড়ছে ৷ মহিলাদের নগ্ন করে রাস্তায় প্যারেড করানো হচ্ছে ৷"
প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করে সায়নী আরও বলেন, "দেশের জন্য, দেশের লোকেদের জন্য, সংবিধানের জন্য এসে দুটো কথা বলুন ৷ বলেননি, পায়ে পড়ে গিয়েছে ৷ অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হয়েছে ৷ কেন ? প্রধানমন্ত্রী 20 হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন সংসদ বানিয়েছেন, কিন্তু সংসদে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেন ৷ তিনি সংসদে ঢুকতে পারছেন না ৷ কারণ তিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছেন না ৷"
আরও পড়ুন:তলব এড়িয়ে পঞ্চায়েতের প্রচারে সায়নী, ভোট মিটলে হাজিরা
এই ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশনেও মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সায়নী ঘোষ ৷ তাঁর অভিযোগ, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে বিরোধী দলগুলির জোট ইন্ডিয়া সচেষ্ট হলেও প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে এখনও নীরব ৷ সায়নীর কথায়, "ইন্ডিয়া যখন মণিপুরের জ্বলন্ত ইস্যুতে তার সুর চড়িয়ে যাচ্ছে, তখন যে ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি জবাবদিহি করা উচিত, একমাত্র তিনিই নীরব থাকতে পছন্দ করছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবতরণের পর মুহূর্তেই ইসরো পরিদর্শন করেন কিন্তু মণিপুরে এক ঘণ্টাও কাটাননি । তিনি যন্ত্রণার থেকেও আনন্দকে প্রাধান্য দেন, পেয়ারের থেকে পিআর-কে, আর দোস্তির থেকে মস্তিকে বেশি প্রাধান্য দেন !"