কলকাতা, 10 নভেম্বর: আগামী মাসে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উপলক্ষ হল, লাখ কণ্ঠে ভগবত গীতাপাঠ ৷ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী 24 ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষাধিক সাধুসন্ত একত্রিত হয় একসঙ্গে গীতা পাঠ করবেন । অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ ৷ উদ্যোক্তাদের তরফে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ৷ তাঁরা আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে, সংগঠনটির তরফে আমন্ত্রণপত্র পাঠান হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৷
আগামী 22 ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী। তবে শাস্ত্রমতে গীতাজয়ন্তীর দিন থেকে পরের সাত দিন গীতাজয়ন্তীর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পুজা অর্চনা এবং আচার অনুষ্ঠান পালন করার বিধান দেওয়া রয়েছে। তাই 24 ডিসেম্বর, রবিবার ছুটি দিনটিকে ওই মেগা গীতাপাঠ কর্মসূচির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে । উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ওইদিন বেলা 11টা থেকে দুপুর 2টো পর্যন্ত সমস্বরে গীতা পাঠ করা হবে। অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের উদ্যোগেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে । আরও দুটি সংস্থা সনাতন সংস্কৃতি সংসদ এবং ভারত তীর্থ সেবা মিশনও অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ভারত সেবা সেবাশ্রম, প্রেম মন্দির, ইসকন, মহা নির্বাণ মঠ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন-সহ ছোট বড় সব আশ্রম থেকে সাধু এবং পণ্ডিতরা আসবেন এই অনুষ্ঠানে ৷ রাজ্যের সমস্ত মঠ ও মিশনকে এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ থাকার কথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও ৷
এই প্রসঙ্গে অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের আহ্বায়ক মানস ভট্টাচার্য বলেন,"পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত মঠ ও মিশনকে একত্রিত করে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ খুব দ্রুত আমন্ত্রণ জানানো হবে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকেও ৷ আমন্ত্রণ পত্র যাবে রাজ্যের 294 জন বিধায়ক, 42 জন সাংসদের কাছেও ৷" অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন দেশের চারজন শঙ্করাচার্যও। অই উদ্যোগ প্রসঙ্গে, অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের আহ্বায়ক মানস ভট্টাচার্য জানান, সারা বিশ্বে এখন একটা যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু সবসময় সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে তাই এখানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে ৷ তাঁর কথায়, সার্বিকভাবে মানুষ এখন হতাশায় ভুগছে। মহাভারতের যুদ্ধের সময় নিজের আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে দেখে অর্জুন যখন চরম হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি শ্রী কৃষ্ণ তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন। তাই সবাই যদি একত্রিত হয়ে গীতা পাঠ করেন তাহলে তার ফলে ভালো বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে ৷